Spread the love

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা হোছাইনিয়া বদরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মাদ্রাসার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও বই বিতরণ কর্মসূচী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় উদ্বোধক ছিলেন ধলঘাটা ইউনিয়ন সেচ্ছা-সেবক লীগের আহবায়ক রুহুল আমিন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাকিব নুর।

 

বিশেষ অতিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুবিনুল হক সাদেকি (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধলঘাটা হোছাইনিয়া বদরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা), সাঈদুল আলম (সভাপতি-ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), আমান উল্লাহ (সাধারণ সম্পাদক-ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), সেলিম রেজা (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ) নুরুল আবচার মনি (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), রমজান আলী (সভাপতি-৯নং ওয়ার্ড ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ), আক্তার কোম্পানী (সাধারণ সম্পাদক-৯নং ওয়ার্ড ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ) প্রমুখ।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন,ধলঘাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নুরশেদ শাহীন জিবন,ছাত্রলীগ নেতা মোরশেদ রেজা,শান্ত সহ ধলঘাটা বদরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।

আলোচনা সভা ও “বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী”- বই বিতরণ কর্মসূচী শুরু করার পূর্ব মুহূর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও দোয়া করা হয়। তারপর তাঁর স্মরণে সবাই ১মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে উক্ত আলোচনা সভা ও বই বিতরণ অনুষ্ঠান আরম্ভ করা হয়।

এতে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার নিহত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেন, যাতে ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু ও তার করিবারের মত হত্যা আর কোন দিন যেন বাংলার মাটিতে না ঘটে, সেই জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণকে সজাগ থাকতে বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব চেয়ে বড় সংগঠন ও সংগঠনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদের্শে আদর্শিত গড়া একটি সংগঠন। এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠন যারা করে বা করবে, তারা কখনো টেন্ডার-বাজি, চাঁদা-বাজি, খুন খারাপী, ঘুম-হত্যা, ধর্ষণ-অপহরণে বিশ্বাসী নয়। তিনি আরো বলেন, আর একজন ছাত্রের এই সব বৈশিষ্ট মধ্যে কোনটি থাকতে পারে না। তিনি তাই সকলকে অবৈধ কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।

এই সময় বক্তারা বর্তমান ক্ষমতাশীল দলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিভিন্ন দিক সমুহকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরেন। দযারা গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা বই-খাতা, কলম কেনার অভাবে ভাল করে লেখা-পড়া করতে পারেনা। তাই তারা অকালে পড়া-লেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিংবা ঝড়ে পড়ছে। তাই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গুলোকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন ,”হুজুগে পড়ে যেন কোনো নাশকতায় না জড়ায় সে দিকে ও লক্ষ রাখতে বলেন।

আলোচনা সভা শেষে ধলঘাটার বদরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর আত্নজীবনী নিয়ে লেখা ” বঙ্গবন্ধু অসামাপ্ত আত্নজীবনী” বই বিতরণ করেন আলোচনা সভার প্রধান বক্তা “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার” সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাকিব নুর।

এ শোক দিবসের আলোচনা সভা ও “বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী”- বই বিতরণ কর্মসূচিতে সভাপত্বি এবং সঞ্চালনা করেন ধলঘাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শোয়াইবুল ইসলাম ছোটন।


Spread the love