যশোরে এক পুলিশ সদস্যের পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে জখম করেছেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। পরে সেখানকার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেয়ার পর সন্ধ্যায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে নড়াইলের একটি আবাসিক হোটেলে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ।

আহত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল হক নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার আমদা গ্রামের বজলেয়ার হকের ছেলে। তিনি যশোর পুলিশ লাইনে নায়েক পদে কর্মরত।

আহত ইমদাদুল হক জানান, ডলি নামে তার একজন স্ত্রী ছিল। সম্প্রতি তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাকে নিয়েই সকালে তিনি নড়াইলে যান। দুপুরের দিকে নড়াইল শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার একটি হোটেলে উঠেন। দুপুরের খাবারের পর তারা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় অন্তরঙ্গ হলে একপর্যায়ে ডলি ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করে। এরপর তিনি লুঙ্গি দিয়ে চেপে ধরে নড়াইল সদর হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ব্যান্ডেজ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।

ইমদাদুল হকের প্রথম স্ত্রী আফরিন সুলতানা মিম দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল আব্দুস সামাদ জানান, ইমদাদুল হকের বিশেষাঙ্গের বেশিরভাগই কেটে গেছে। সেলাই করা হয়েছে। তবে অঙ্গটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে গোলযোগের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯জুন দুপুরে যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকায় মইনুল হক রসি নামে এক ব্যক্তিকেও তার স্ত্রী ব্লেড দিয়ে বিশেষাঙ্গ কেটে দেয়।