প্রেস বিজ্ঞপ্তি ,২৪ জানুয়ারি ২০২২

কক্সবাজার – জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) ও মেরিনা তাবাস্সুম আর্কিটেক্টস্ (এমটিএ) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মনতলিয়া অঞ্চলে নতুন এক এগ্রিগেশন সেন্টার উদ্বোধন করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত, যেখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য যাচাই বাছাই, সংরক্ষণ ও ক্রেতাদের সাথে সামনাসামনি দর কষাকষি করতে পারেন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি মেরিনা তাবাস্সুমের নকশা করা এই সেন্টারে ব্যবহার করা হয়েছে অভিনব বাঁশের স্থাপনা ও টেকসই ডিজাইনের উপাদান, যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়াই একে শীতল রাখার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ডিজাইন ও নবায়নযোগ্য উপকরণ। একে স্থানীয় জনগোষ্ঠী প্রশিক্ষণসহ নানামুখী কাজেও ব্যবহার করতে পারবে, আর এতে বিদ্যুতের যোগান দেবে সৌর-বিদ্যুৎ প্যানেল। .

বাংলাদেশে WFP-এর প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, “স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে সহযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়েছে এই নতুন এগ্রিগেশন সেন্টার। এটি কক্সবাজারে আমাদের তৈরি স্থাপনাগুলোকে পরিবেশবান্ধব করা ও এইক্ষেত্রে জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারেরই একটি অংশ।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মেরিনা তাবাস্সুমের সাথে আমাদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ, যিনি তাঁর কাজে শৈল্পিকভাবে এসব বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।”

এই এগ্রিগেশন সেন্টারগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজারের স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য নির্ভরযোগ্য একটি বিক্রয়কেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছেন। পাশাপাশি, এখানে তাঁরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য টাটকা ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাবার সরবরাহের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রতিটি এগ্রিগেশন সেন্টারে রয়েছে একটি করে অটোরিক্সার ব্যবস্থা, যেন প্রতিদিন কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে তা বিতরণ করা যায়। ২০২০ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় WFP এমন ২৫টি এগ্রিগেশন সেন্টার চালু করেছে। .

এই সেন্টারগুলোর মাধ্যমে বাজারের সাথে সংযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয় এবং এটি কক্সবাজারের স্থানীয় পরিবারগুলোর জীবিকাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এনহ্যান্সিং ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন (ইএফএসএন) প্রকল্পের মতোই WFP-এর অন্যান্য প্রচেষ্টার পরিপূরক এক উদ্যোগ। ইএফএসএন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবসা ও উদ্যোক্তা বিষয়ক দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ ও নগদ অর্থ-সহায়তার মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়ন করা হয়। এসব প্রশিক্ষণ ও অর্থ-সহায়তার মাধ্যমে তাঁদেরকে সবজি চাষ কিংবা খামারের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করা অথবা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পরিধি বাড়ানোর ব্যাপারে সহায়তা করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ২৫ হাজারেরও বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা নারীকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মার্কেট লিংকেজ ও লাইভলিহুডস্ প্রকল্পে WFP-কে সহায়তা দিচ্ছে কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস্ ও যুক্তরাজ্য সরকার এবং ইউএসএইড-এর ব্যুরো ফর হিউম্যানিটেরিয়ান এসিস্টেন্স।