শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অযত্নে অবহেলায় বিনোদন কেন্দ্র সিটিজেন পার্ক। বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কুতুবদিয়ার লোকজন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কুতুবদিয়ার বিনোদন কেন্দ্র চরম অযত্ম ও অবহেলায় পড়ে আছে কুতুবদিয়ার বিনোদন বঞ্চিত লোকদের একমাত্র সিটিজেন পার্কটি। পার্কজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। বসার জায়গাগুলোয় জমেছে শেওলা। আস্তে আস্তে প্রানীর ম্যুরালগুলো ভাঙতে শুরু করাতে এ পার্কটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন পর্যটক ও স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুরা।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়া উপজেলায় পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ২০১৮ সনের ৩০মে সরকারি ও বেসরকারী অনুদানে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরীর উদ্যোগে এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। গড়ে তোলেন বিভিন্ন প্রাণীর ম্যুরাল। পরে ২০২১ সনের ৮ মে কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক পুণরায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি সহ ক্ষতিগ্রস্ত ম্যুরাল নির্মাণের একটা বরাদ্দ দেন।
স্থানীয় কাজী হেলাল উদ্দিন আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. শফিউল আলম বলেন, সিটিজেন পার্কটি প্রথমে আর্কষন বাড়ালেও। এটি সংস্কার বিহীন হওয়ায় জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি ।
উপজেলা প্রেসক্লাবে সভাপতি এস কে লিটন কুতুবী বলেন,সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরীর কুতুবদিয়া পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে তিনি এ সিটিজেন পার্ক করার উদ্যােগ নেন। এখন অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে এ পার্কটি যদি সংস্করণ করা না হয় তাহলে হারিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নুরের জামান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড.ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,পার্কের প্রাণী ম্যুরালগুলো ভাঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি কেউ অবগত করেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সংস্কার বা মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।