শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সিবিএন ও কক্সবাজার সময় অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘নবগঠিত কক্সবাজার শহর স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ক্ষোভ’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক।

মুলত কথা হচ্ছে, গত ১০/১২ বছর ধরে একটি মহল উপজেলা বা শহরের আওতাধীন কোন ওয়ার্ড বা ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি না করে নামে মাত্র পদ-পদবী দখল করে রয়েছেন। এমনকি এসব নেতাদের অনেকে ইতিপুর্বে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরাসরি কাজ করেছেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাচনেও একইভাবে বিএনপির প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে অন্যদলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। সর্বোপরি সংগঠনের জন্য কাজতো করেননি তার মাঝে দলের দুঃসময়ে দেশ নেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনসহ বিএনপির আহবানে বর্তমান পেশীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে উপজেলা বা শহর পর্যায়ে তারা কোন আন্দোলন বা মিছিল মিটিং করেছে বলে প্রমান দেখাতে পারবে না।

অপরদিকে স্বেচ্ছাসবকদলের পদবী নিয়ে জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা কতিপয় নেতা আওয়ামী লীগের সাথে গোপন আতাঁত করে কক্সবাজার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের মাঝে গ্রুপিং রাজনীতির চর্চায় ইন্দন যোগাচ্ছেন- যা আজ পুরো কক্সবাজার জুড়ে সমাদৃত। দলের দুর্দিনে সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় সংসদ যখন সাবেক ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে এনে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটি ঘোষনা দিলে ওই নেতাদের টনক নড়ে।
এর মধ্যে নবগঠিত শহর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক ইমরান সিকদার ২০১৯ সালে সিটি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি থাকাকালীন ক্যাম্পাসে আন্দোলন করতে গিয়ে তাদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ ও আহত হয়। তারই জের ধরে ছাত্রদল নেতাদের দমাতে বিভিন্ন হয়রানী মুলক মামলা করে। ইমরানকে ইয়াবাসহ আটকের ঘটনাটি ছিলো একটি সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। যার কারণে সে মাত্র ১২দিন পরই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে যায়।

আমরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলতে চাই, প্রকাশিত সংবাদের যারা অভিযোগ তুলেছেন তারা দলের দুঃসময়ে অতীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে কোন মিছিল-মিটিং করতে দেখিনি। আমাদের আক্ষেপেরে সাথে বলতে হচ্ছে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুর্ববর্তী কক্সবাজার সংসদীয় আসনের উপজেলায় বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা ৩৭টি মামলায় কোন স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীদের নাম নেই। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে রাজনীতি করেছে। সর্বোপুরি নতুন কমিটি পাওয়ায় নেতাকর্মীরা আনন্দে উল্লসিত এবং আগামীর যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল একটি নতুন মাত্রা পাবে। তাই ওই সুবিধাবাদীরা হিংসায় জ¦লে উঠে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

আমরা প্রকাশিত সংবাদের জোর প্রতিবাদ ও নিন্দ জানাচ্ছি এবং এই সংবাদের কোনো নেতাকর্মীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী
পৌর, সদর, রামু ও ঈদগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দ।