মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

১৬ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের দায়ে ২ রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ মাহমুদুল হাসান। বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারী এ রায় প্রদান করা হয়।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম আব্বাস উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো : ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টা ২৫ মিনিটের দিকে র‍্যাব-৭ এর একটি টিম টেকনাফের হ্নীলা লেদা পাড়ার লেদা বাজারে এক অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট সহ ২ রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারীকে আটক করে। আটককৃত ২ রোহিঙ্গা হলো-টেকনাফের লেদা নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক এ-০৮ এর আপোস উদ্দিন এর পুত্র আসাদুল্লাহ (৩৮) এবং টেকনাফের মোছনী নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জাকিরের দোকানের ব্লক এইস এর মোহাম্মদ ইসমাইল এর পুত্র আবদুর রহিম (২৬)।

এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর সিপিসি-২ এর বিজিবি’র জেসিও ডিএডি সুকুমার রায় বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৫৩/২০১৮ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৫০৫/২০১৮ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ১০৫৫/২০১৯ ইংরেজি।

মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা, যুক্তিতর্ক শেষে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ধারায় টেবিল ৯ (খ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ বিচারক মাহমুদুল হাসান
আসামী ইয়াবাকারবারী রোহিঙ্গা আসাদুল্লাহকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ২ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। অপর আসামী রোহিঙ্গা আবদুর রহিমকে একই আইনের একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ বিচারক মাহমুদুল হাসান ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ২ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। দন্ডিত আসামীদ্বয় পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার সাজা কার্যকর করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট আবদুর রউফ এবং আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট সাহাব উদ্দিন সিহাব।