মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

র‍্যাব-১৫ এক কোটি ২৬ লক্ষ মূল্যের ১৯১ ভরির বেশি স্বর্ণালংকারসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় র‍্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার।

আটককৃত স্বর্ণ পাচারকারী টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের মনিয়াঘোনা এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে করম আলী ওরফে করিম (৩৭)।

বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে স্বর্ণের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় র‍্যাব-১৫। এ সংবাদে পালংখালী এলাকায় বিশেষ কৌশলে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে অভিযান শুরু করে র‍্যাব-১৫। একপর্যায়ে তল্লাশিচৌকির সামনে আসা করম আলী ওরফে করিম নামক এক ব্যক্তির গতিবিধি ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে র‍্যাব সদস্যরা তাকে থামতে নির্দেশ দেন। এ সময় আটককৃত ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশি করে শরীরে বিশেষ কৌশলে বহন করা অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার, ৪টি নেকলেস, ৩৩টি গলার চেন, ১৭টি চুড়ি, ৩৫ জোড়া কানের দুল, ১৫টি লকেট, ১২টি নাকফুল ও ১৬টি আংটিসহ মোট ১৯১ ভরি ৬ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৪৫৯ টাকা।

আটক ব্যক্তির কাছ থেকে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ২টি এবং বাংলাদেশি অপারেটর কোম্পানির আরো ২ টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। এসব সিম কার্ড পাচারকাজে ব্যবহার করা হতো।

র‍্যাব-১৫ প্রধান কর্নেল খাইরুল ইসলাম আরো বলেন, সীমান্তে সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আটককৃত ব্যক্তি স্বর্ণের চালানটি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্রও জড়িত। আটককৃত করম আলী ওরফে করিমকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।