প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখা দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী পালন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে রাত ১২.০১ মিনিটে পবিত্র শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০.০ টায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং বিকাল ৩.০ টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন-জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান।

নেতৃবৃন্দ বলেন-বাঙ্গালী জাতির জীবনে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানী শাসকরা প্রথমে আমাদের ভাষার উপর আঘাত করে। তাদের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার, শফিউর রহমান অনেকে শহীদ হন। তখন থেকে বাঙ্গালী জাতি অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। পাকিস্তানীদের কাছ থেকে প্রতিটি অধিকার রক্তের বিনিময়ে আদায় করতে হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন-তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীকে হত্যা করে এবং ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করে। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ পুর্নগঠন শুরু হলে ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া প্রেতাত্বারা এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করে। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিলে আসলে তারা বার বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা চালায় এবং ২১ আগষ্ট তাঁর উপর গ্রেনেট হামলা চালিয়ে ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার নির্দেশে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন সময় হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশ যখন অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক এ সময়ে বিএনপিসহ দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এই সব ষড়যন্ত্র শক্ত ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সংগঠনকে আরো বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন-সংগঠনকে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যেকে সামনে রেখে আগামী ১ লা মার্চ হতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ মাস ব্যাপী সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করবে। সংগঠনের প্রতিটি পর্যায়ে ত্যাগী, সৎ ও জনপ্রিয় নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। যারা ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে প্রমানিত হবে তাদের কাউকে সংগঠনের কোন পদে রাখা হবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন-দলের প্রতি অনুগত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরাই ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করবে। নেতৃবৃন্দ একুশের চেতনায় উজ্জ্বিবীত হয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহবান জানান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, রেজাউল করিম, মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, ইউনুছ বাঙ্গালী, হেলাল উদ্দিন কবির, এম.এ. মনজুর, ড. নুরুল আনছার, আমিনুর রশিদ দুলাল, বদরুল হাসান মিল্কী, যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আসিফুল মওলা, সেলিম নেওয়াজ, দিদারুল ইসলাম রুবেল, মির্জা ওবায়েদ রুমেল। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন-ওলামা লীগ সভাপতি মাওলানা নুরুল আলম সরকার।