সিবিএন ডেস্ক:
পাঁচ ভাই নিহতের দিনে যে চোখ বন্ধ করেছিলেন চকরিয়ার মালুমঘাটের রক্তিম শীল। সেই চোখ আর খোলেননি তিনি। টানা ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হার মানলেন তিনি। এনিয়ে পিকআপ চাপায় মোট ৬ ভাইয়ের মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে তাকে চমেক হাসপাতালে সেখান থেকে ম্যাক্স হাসপাতাল হয়ে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গত ৫ দিন আগে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।
এরআগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাবার শ্রাদ্ধ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপভ্যানের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হন। ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর অপরজন মারা যান।
ঘটনাস্থলে নিহত চারজন হলেন— ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত ডা. সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম শীল (৪৬) এবং তার তিন ভাই নিরুপম শীল (৪০), দীপক শীল (৩৫) ও চম্পক শীল (৩০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান স্মরণ সুশীল (৩২) নামের আরও এক ভাই।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রক্তিম শীল ও হীরা শীল। তাদের দুইজনের মধ্যে থেকে রক্তিম শীল নামে আরও এক ভাই মঙ্গলবার সকালে মারা যান।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতদের আরেক ভাই প্লাবন চন্দ্র শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পিকআপভ্যান চালককে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা করেন। পরে ঢাকা থেকে চালককে র্যাব গ্রেপ্তার করে জানিয়েছিল, ঘন কুয়াশার কারণে পিকআপ চালক রাস্তায় দেখতে না পেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।