সিবিএন:
কক্সবাজারে দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি ঠেকাতে মনিটরিং করতে দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।
রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রশানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিয়ে করা এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব দেশের দ্রব্যমূল্যের উপর তেমন পড়েনি। যুদ্ধের আগেই দেশের চাহিদা মতো দ্রব্য মজুদ করা হয়েছে। কিন্তু রমজান মাস সামনে রেখে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে অসাধু চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিতে চাইবে। তারা কৃত্রিম সংকটও সৃষ্টি করতে চাইবে। কিন্তু কোনোভাবেই তা হতে দেয়া যাবে না। তার জন্য প্রশাসনেরর কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ আরো বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটই কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে অপচেষ্টা করছে। তারা খাদ্যপণ্য অবৈধভাবে মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে। মজুদদারদের কেউ যদি দলের নেতাও তাদের ছাড় দেয়া যাবে না। দলের নাম বিক্রি করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত এই মতবিনিয় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামাননসহ অন্যান্যরা।
রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসবে যোগ দিতে শনিবার কক্সবাজার আসেন ড. হাসান মাহমুদ। রোববার মতবিনিয় সভা শেষে সাড়ে ১২টায় বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেন তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
