সিবিএন:
অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়কে পর্যটন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। মূলত মার্চের পর থেকে তীব্র গরম সাগর উত্তাল হওয়ায় প্রতিবছর এপ্রিল থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্¦ীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ গমণ বন্ধ করে দেয়ায়। তারই আলোকে এবারও ২ এপ্রিল থেকে সেন্টমার্টিনগামী সকল পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কুয়াব)। স্কুয়াবের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের প্রশাসনের অনুমতি আছে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ২ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু পর্যটক সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন করবেন। তাই তাদের আনার জন্য ওই দিন পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২ এপ্রিল সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় প্রতিটি জাহাজে দ্বীপের আবর্জনা টেকনাফে আনা হবে। এরপর এসব আবর্জনা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। এরপর আগামী অক্টোবর পর্যন্ত টানা সাত মাস এ দ্বীপে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ থাকবে।
উপজেলার প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পর্যটক পারাপারে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজ চলাচল করে। বর্ষা মৌসুম ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকে বলে উপজেলা প্রশাসন এসব জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, ৩০ মার্চ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশ থাকলেও আরো দুইদিন বাড়ানো হয়েছে। মূলত জাহাজে করে দ্বীপের আবর্জনাগুলো টেকনাফে নিয়ে আসা হবে। সে জন্য দুইদিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।