আব্দুল্লাহ সায়েমঃ

বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়ে থাকে এবং পাটই বাংলার শত বর্ষের ঐতিহ্য। কিন্তু দেশের এই নিজস্ব সম্পদ কতটা কাজে লাগানো যাচ্ছে? এবার দেশের এই আন্ডাররেটেড সোনালি সম্পদের ইতিবাচক বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কক্সবাজারেই উদ্ভোদন হলো ৫ দিন ব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলা।

সোমবার (২৮’ই মার্চ) সকালে শহরের শহীদ দৌলত ময়দানে বস্ত্র এ পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ ফিতা কেটে এই মেলার উদ্ভোদন করেন।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজন হওয়া এই মেলায় দেখা যায় পাট দিয়ে তৈরি হরেকরকমের পণ্য।

অংশ নেয়া উদ্যোক্তারা বলছেন, জলবায়ুর সংকটে সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাববিস্তারকারী প্লাস্টিকের পণ্য বয়কট করে দেশীয় এই সোনালী ফসলটি দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব পণ্যের ইতিবাচক দিকটি তোলে ধরার লক্ষ্যেই তাদের অংশগ্রহণ।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র এ পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ বলেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদটির সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারলে বিশ্ববাজারে আরও শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারবে দেশের রপ্তানি খাত৷ তা ছাড়াও জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় এই পাট হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জ্যুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেপিডিসি)’র অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, অতিরিক্ত জেলা (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।