ইমাম খাইর
কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোডের জলিল মার্কেটের দীর্ঘ ৩৫ বছরের ভাড়াটিয়াদের চুক্তিকৃত দোকান বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন।
অন্যথায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শহরের সকল দোকান বন্ধ থাকবে।
সেই সঙ্গে জলিল মার্কেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের কার্যালয়ে উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ফেডারেশনের সভাপতি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাহাবুবর রহমান।
তিনি বলেন, গত ১৯৮৭ সাল থেকে এডভোকেট আব্দুল জলিলের কাছ থেকে তারা সাতজন ভাড়াটিয়া সালামীর ভিত্তিতে দোকান নেন। তারা মালিকের কাছে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ ব্যবসা করছিলেন। মূল মালিকের মৃত্যুর পর গত ২০১৯ সালে তার ছেলে কলিম উল্লাহ ‘জলিল টাওয়ার’ নামে নতুন মার্কেট নির্মাণের কথা বলে পুরাতন ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে নতুন সালামী নির্ধারণ করে চুক্তি করেন। মার্কেটটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও দীর্ঘ ৩ বছর ধরে মালিক ভাড়াটিয়াদের দোকান বুঝিয়ে না দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। এব্যাপারে মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন উদ্যোগ না নিয়ে হয়রানী অব্যাহত রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন, অবস্থান কর্মসূচি, প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে দোকান বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হল। অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরবর্তি কর্মসূচি দেয়া হবে।
সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ফেডারেশনের উপদেষ্টা ফিরোজ আহমদ ওসমানী, শওকত ওসমান পিয়ারো, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, লাইব্রেরী সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক, ইজি বাইক মার্কেটের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পূরাতন তরকারি শেডের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা, বৃহত্তর বার্মিজ মাকের্র্ট সমিতির সভাপতি মুসা কলিম উল্লাহ, কৃষি অফিস সড়কের সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল, বেকারি সমিতির সভাপতি বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সোহান ও সমবায় সুপার মার্কেটের সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।