শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উপজেলা গেইটের সামনে রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ নামক কম্পিউটার দোকান থেকে র্যাব-৭ অভিযানে ১৬ লাখ জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার মূলহোতা মিজানসহ বাকী তিন সহযোগীকে ৩’দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন,বড়ঘোপ ইউপির মনোহরখালী এলাকার হাফেজ শহীদ উল্ল্যাহর ছেলে জাল টাকা তৈরীর সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাঈফ উদ্দিন আহম্মদ প্রঃ মিজান (২৫),এবং তার দুই ভাই সহযোগী উপজেলা পরিষদের সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ (৩২), মোঃজিয়া উদ্দিন (২১)সহ কৈয়ারবিল ইউপির নজর আলী মাতবর পাড়া এলাকার ওমর আলী ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)।
বুধবার (৩০ মার্চ ) তাদের কুতুবদিয়া আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় কুতুবদিয়া থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদীন নাহী ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে,র্যাব-৭ দেওয়া ভিডিও সংবাদ সম্মেলন ও ফেসবুক পেইজে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ধৃত ০১ নং আসামী মোঃ ছাইফুদ্দীন আহাম্মদ (মিজান) এই অবৈধ জাল নোট সিন্ডিকেটের মূলহোতা ও ০২ নং আসামী সাইফুল ইসলাম কম্পিউটার বা ল্যাপটপে জাল টাকা গুলো প্রস্তুত করে কালার প্রিন্টারে প্রিন্ট করতো, ০৩ নং আসামী মিসবাহ্ উদ্দিন জাল টাকাগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় আসল টাকা হিসেবে তাদের চক্রের নির্ধারিত লোকের মাধ্যমে চালানোর ব্যবস্থা গ্রহন করতো এবং ০৪ নং আসামী মোঃ জিয়াউদ্দিন জাল টাকা প্রস্তুতকালীন সময়ে বর্ণিত স্থানে দোকানের দরজায় পাহাড়ায় নিয়োজিত থাকতো উল্লেখ করা হলেও। কিন্তু এজাহারে বর্ণনায় বলা হচ্ছে অন্য কথা, ০৩ নং আসামী মিসবাহ্ উদ্দিনকে ৪নং আসামী এবং জাল টাকা প্রস্তুতকালীন সময়ে বর্ণিত স্থানে দোকানের দরজায় পাহাড়ায় নিয়োজিত থাকতো বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া,র্যাবের বর্ণনায় মোঃ জিয়াউদ্দিন পাহাড়ায় নিয়োজিত থাকতো উল্লেখ করা হয়েছে এবং এজাহারে ০৪ নং আসামী থেকে ৩নং আসামি হিসেবে পরিবর্তনও করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।