চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাদ্রাসা মাঠে রাস্তা তৈরীর সরঞ্জাম রাখায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রতিদিন বিটুমিন পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত জালানীর কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হচ্ছে মাদ্রাসা ভবন ও এলাকা। এতে মাদ্রাসাসহ আশপাশ এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়ছে।

একইভাবে পাশে পুকপুকুরিয়া কবির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলাটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারীরা আবাসস্থলের কাজে ব্যবহার করছে।

এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুফতি মাওলানা এনামুল হক।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী খদিজাতুৃল কুবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার মাঠে এলজিইডির সড়ক নির্মাণ কাজের কংকর, পাথর, বালি, ঝুট ও বিটুমিন স্তুপ করে রাখা হয়েছে। সকালে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে পোড়ানো হয় বিটুমিন। এতে মাদ্রাসার পরিবেশের পাশাপাশি ভবনের ক্ষতি হচ্ছে। ভবনগুলো কালো ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।

তবে রমজান উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম। এমনকি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথও রাখেননি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের লোকজন।

মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুফতি এনামুল হক বলেন, এলজিইডির ঠিকাদারের পক্ষে কাজটি পরিচালনা করছেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী। তার প্রভাবে কমিটির অনুমতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসা মাঠে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালামাল স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে বারণ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কর্ণপাত করেননি।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে মাদ্রাসা মাঠ থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এরপরও তারা মালামাল না সরালে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, মাদ্রাসা মাঠে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালামাল স্তুপ করে রাখায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দিয়েছি যাতে মাদ্রসার শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হয় । এর পরেও মাদ্রসা ভবণের ক্ষতি হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।