বার্তা পরিবেশক
টেকনাফের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িত একটি নাম রাখাইন জমিদার ক্যাজাপ্রু চৌধুরী। ক্যাজাপ্রু চৌধুরীর বংশধরদের অনেকে দেশ-বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত রয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ভালবাসা আছে ও থাকবে। আমরা চাইনা তাদের বংশের কেউ হয়রানীর শিকার হোক। যুগযুগ ধরে তাদের বংশধর টেকনাফে থাকুক, যেহেতু তাদের ঐতিহ্য ও সুখ্যাতির সাথে টেকনাফ বাসীর স্মৃৃতিও জড়িত। পাশাপাশি রাখাইন সস্প্রদায়ের ন্যায্য সম্পত্তি যেন সঠিক ওযারিশরা ভোগ করতে পারে তাও আমাদের দাবী। কয়েকজন রাখাইনের স্বার্থের জন্য যেন অসহায় কতিপয় রাখাইনের স্বার্থ বিলিয়ে না যায় সেটার প্রতিও সবার দৃষ্টি থাকা একান্ত জরুরী। ওই রাখাইন জমিদারের নিজস্ব সম্পত্তি নিয়ে আমাদের কি যায় আসে। রাখাইন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিধিমতে তাদের জায়গা সম্পত্তি বন্টন হবে। বন্টন মতে যার যা পাওনা পাবে তা বুঝে নিবে এবং ভোগ করবে। অত্যন্ত দু:খের বিষয় সম্প্রতি বার্তা বাজার ও টেকনাফ টুডেসহ একাধিক অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত “টেকনাফে সংখ্যালঘু রাখাইনদের শত বছরের পুরনো ভূ-সম্পত্তিতে ভূমিদস্যুদের থাবা : দখলে নিচ্ছে জমিজমা-মার্কেট-জমিদার বাড়ী” শীর্ষক সংবাদ খানা আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদের একাংশে আমরা প্রতিবাদকারী হাবিব শাহ ও নুর মোহাম্মদ প্রকাশ লাষ্ট্্িরপ কে জড়িয়ে যে কল্পকাহিনী সাজিয়েছে তা হাস্যকর। সংবাদটি দেখে মনে হচ্ছে একশ্রেণীর সাধুবেশীরা প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে সত্যকে চাপাতে মিথ্যার আশ্রয়ে সংবাদ কর্মীদের মিথ্যা তথ্যে সংবাদ পরিবেশন করিয়াছে। হাবিব শাহ ও নুর মোহাম্মদ প্রকাশ লাষ্ট্রিপ এক যৌথ বিবৃতিতে জানান সংবাদটি মূলত উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সংবাদের প্রকাশিত তথ্যের কোন প্রকার সত্যতার লেশ মাত্র নেই। জমির মালিকানা ও দখল বে-দখল বিষয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই। প্রয়োজন মনে করলে জমির ওয়ারিশরা তাদের ন্যায্য অধিকার ও সম্পত্তির বিষয়ে মিডিয়ার মুখোমুখী বা পত্রিকায় তাদের তথ্য প্রকাশ করবে। উক্ত সংবাদের তথ্যে আমাদেরকে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দু:খজনক ও নিন্দনীয়।
ওই প্রতিবেদনে সবচেয়ে জগন্যতম ও ঘৃণিত রিপোর্ট হচ্ছে যে, ভুমি দস্যু সিন্ডিকেটটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় লাটিয়াল বাহিনী নিয়োগ করে স্থাপনা নির্মান করে দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই জবর-দখলের নেতৃত্ব দিচ্ছে মৌলভী হাবিব শাহ নামে এক ব্যক্তি। প্রভাবশালী মহলের যোগ-সাজশে প্রাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় লাটিয়াল বাহিনী নিয়োগ করে স্থাপনা নির্মান করে দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদকের কাছে আমাদের প্রশ্ন কে এই প্রভাবশালী মহল? তার খুঁটির জোর কোথায় যার ছায়ায় আদালতকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। আশা করি প্রতিবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর আপনার লিখনীর মাধ্যমে সেই প্রভাবশালী মহলটিকে তা স্পষ্ট করবেন। তবে কেন কি কারনে উক্ত সংবাদে আমাদেরকে জড়ানো হয়েছে তা বুঝে আসছে না। আশা করি ওই সংবাদের একাংশের প্রতিবাদটি প্রকাশের ১ সাপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ঠ পোর্টাল ও পত্রিকার প্রতিবেদককে উক্ত সংবাদটি প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট পোর্টাল ও পত্রিকা সহ প্রতিবেদক এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিশেষে আমাদের বিণীত অনুরোধ ভবিষ্যতে সংবাদ প্রকাশ করার সময় সঠিক তথ্য যাচাইবাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করবেন।
নিবেদক
হাবিব শাহ
নুর মোহাম্মদ প্রকাশ লাষ্ট্রিপ
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।