বার্তা পরিবেশক:
খাবারের বাকি টাকা চাওয়ায় কলাতলীর শালিক রেস্টুরেন্টে আ. লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। বুধবার (০৬ এপ্রিল) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

শালিক রেস্টুরেন্টের কর্ণধার নাছির উদ্দিন জানান, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদুল হক চৌধুরী কারণ-অকারণে তাঁর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। পর পর দুইবার তাঁর লোকজন নিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে খাবার খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যায়। সর্বশেষ গত ০১ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে মোর্শেদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রায় ৬০-৭০ জন রেস্টুরেন্টে এসে খাবার খায়। ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়ে তাদের খাবারের বিল আসে ২০ হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু একাধিকবার বিল খুঁজেও কোন সাড়া মিলেনি।

নাছির উদ্দিন আরও জানান, বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মোর্শেদুল হক চৌধুরীকে ফোন করে বিল চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে ১০ মিনিট পর আবারও কল দিলে তিনি আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং তার ক্যাডার বাহিনীকে আমাকে ধরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে প্রায় ৪০—৫০ জন দুবৃর্ত্ত এসে আমার রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। যা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে সংরক্ষিত আছে।

রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোর্শেদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল অতর্কিত এসে নাছির উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর নাছির উদ্দিনের ভাই হেলাল, কর্মকর্তা রিদুয়ানকে উপর্যুপরি মারধর করে হামলাকারীরা। এসময় রেস্টুরেন্টে খেতে আসা পর্যটকরা আতংকিত হয়ে পড়ে। দিকবিদিক পালাতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়। হামলায় গুরুতর আহত হয় নাছির উদ্দিনের ছোট ভাই হেলাল। তাকে রেস্টুরেন্টের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক।

এ ব্যাপারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান শালিক রেস্টুরেন্টের কর্ণধার নাছির উদ্দিন।

অভিযোগের বিষয়ে মোর্শেদুল হক চৌধুরী বলেছেন, পূর্ব কলাতলী ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারকে নাছিরের নেতৃত্বে ব্যাপক মারধর করা হয়। এই খবর পেয়ে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।

এই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন) জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।