হ্যাপী করিম, মহেশখালী:
বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ -১৪২৯ উপলক্ষে মহেশখালী কলেজ ক্যাম্পাস চত্বরে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা উৎসবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পহেলা বৈশাখ-১৪২৯ লক্ষ্যে মূলভাবের সাথে সঙ্গতি রেখে স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হলো ‘নির্মল করো মঙ্গল করো মলিন মর্ম মুছায়ে’। যা বিখ্যাত কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন- এর গান থেকে নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল সকালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক আহাম্মদ কবির এর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভা যাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাস চত্ত্বর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন গ্রাম্য খেলার আয়োজন করা হয়।

পরে কলেজ অডিটরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসে মিলিত হয়।
মহেশখালী কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আহাম্মদ কবির সভাপতিত্বে বর্ষবরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক আশিষ চক্রবর্তী, ছৈয়দ আল‘সহ অত্র কলেজ শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, গনমাধ্যম কর্মী,কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আহাম্মদ কবির বলেন., দীর্ঘ দু’বছর পর কোভিড পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতির ফলে এবং মহেশখালী কলেজ শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলমান থাকায় মহেশখালী কলেজে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপনে এ বছর পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আয়োজন সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও বাঙালি হাজার বছরের ঐতিহ্য ও প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ -১৪২৯ উদযাপন।

উল্লেখ্য- পহেলা বৈশাখের দিনে নতুন বাংলাবর্ষকে বরণ করে নিতে সকালে মহেশখালী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বাঙালির লোকজ ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীক এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ যাত্রা যেন বাংলাদেশের জন্মের শেকড়ের দিকেই এক অভিযাত্রা। এই যাত্রা নিরন্তর অসীমের কাছে পৌঁছানোর সাহস। প্রকৃতির নিয়মে নদীর মতো প্রবহমান বাঙালির এক অনবদ্য বর্ণিল উপাখ্যান। সেই জীবন যাপনের অঙ্গীকার থেকেই মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা। ১৯৬০- এর দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার রমনা বটমূলে সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়। যার ভিতর দিয়ে মহেশখালী কলেজ ক্যাম্পাসে অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ, মুক্তচিন্তার বিকাশ ও লালন, লিঙ্গসমতা, মনন এবং মহৎ দৃষ্টিভঙ্গির বার্তাই বহন করে চলেছে।