বার্তা পরিবেশক:
রামু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজারের ইজারা নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া নিলাম ডাকের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত প্রথম ডাককারী রোকসানা আকতার বেবিকে ইজারাদার হিসেবে বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এই নির্দেশ অমান্যা করে দ্বিতীয় ডাককারী আলী আহমদ প্রকাশ আলমই টোল আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রথম ডাককারী রোকসানা আকতার বেবি।

কিন্তু সেই আলী আহামদ প্রকাশ আলম কেন টোল আদায় করছে- তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত ৯ মার্চ নতুন বাংলা সনের জন্য ওপেন ডাকের মাধ্যমে মাধ্যমে নতুন ইজাদার নিয়োগ হয়েছিলো রোকসানা আকতার বেবি। কিন্তু টাকা জমাদানকে কেন্দ্র গত ২২ মার্চ তাকে ইজারা থেকে বাতিল ঘোষণা করেন উপজেলা প্রশাসন। নিয়ম মতে সাত সপ্তাহ পর্যন্ত টাকা জমার দেয়ার সময় থাকে।

রোকসানা আকতার বেবিকে বাতিল ঘোষণা করে দ্বিতীয় ডাককারী আলী আহামদ আলমকে টাকা জমার দেয়ার নির্দেশ দেয় উপজেলার প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রীট দায়ের করেন রোকসানা আকতার বেবি। তার আবেদন আমলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ বাতিল করে তাকে পুনর্বহালের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্তে¡ও রোকসানা আকতার বেবিকে ইজারাদার নিয়োগ করেনি উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু টোল আদায় করছে সেই আলী আহামদ প্রকাশ আলী।

রোকসানা আকতার বেবি নিলামের টাকা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশ স্বত্ত্বেও ও তাকে বাজার বুঝে দেয়া হয়নি। এই নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দ্বিতীয় ডাককারী কর্তৃক অবৈধভাবে টোল আদায় করা নিয়ে প্রথম ডাককারীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে যে কোনো সময় বড় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, রামু উপজেলার বৃহত্তর বাজার বাজার হচ্ছে এই বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজার। জেলা ও জেলার বাইর থেকে এই বাজারে কেনাবেচা করতে আসে বহু ক্রেতাবিক্রেতা। এই বাজারের পণ্য যায় জেলা পেরিয়ে দেশের দূর-দূরান্তে। সে কারণে এই বাজারের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। তাই এই বাজারের ইজারারও বেশ গুরুত্ব রয়েছে। যে কারণে বাজারটি ইজারা পেতে প্রতিযোগিতা চলে।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, বাজারটিতে এক প্রকার অরাজকতা তৈরি করে সিন্ডিকেট। তারা সরকারি বিধি উপেক্ষা করে নিজেদের মনগড়া অতিরিক্ত টোল আদায় করেছে। অতিরিক্ত টোল দিতে না চাওয়ায় বহু ক্রেতাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে ক্রেতা-বিক্রেতা।