শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:
কক্সবাজার জেলার কতুবদিয়া উপজেলার বিভন্ন জায়গায় তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পানিতে ডুবে ৫ শিশু মারা গিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞতের মতে, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর মূলে রয়েছে সচেতনতার অভাব। অথচ সরকারি-বেসরকারি সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ না থাকায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় থামানো যাচ্ছে না নীরব এ মৃত্যু।
এদিকে, ২৫ এপ্রিল সকালে উপজেলার লেমশীখালী হাজীর পাড়া নাছির উদ্দিনে ছেলে আল আমিন (৪) পানিতে ডুবে নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, পানিতে ডুবে গত ৩ সপ্তাহে মারা গেছেন- গত ৫ এপ্রিল কৈয়ারবিল ৩ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ সাগর এর ১৬ মাস বয়সী ছেলে আলী হাসান তামিম, ১৩ এপ্রিল উত্তর কৈয়ারবিল ফকির পাড়া এলাকার সামসু আলমের ছেলে মো. আসরাফুল (৪), ২৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ইউনিয়নের কুলার পাড়া গ্রামের এহাছানের মেয়ে ওহি (৫), ২৩ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের চাড়িপাড়া গ্রামের শাফু উদ্দীনের ১৩ মাস বয়সী মেয়ে ছাবিহা।
কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক কাইছার সিকদার বলেন, কুতুবদিয়া উপজেলায় বেশি শিশুর মৃত্যুর ঘটে ধূরুং ইউনিয়নে। এই শিশুগুলোর মৃত্যু হওয়ার কারণ হচ্ছে অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব।
কুতুবদিয়া উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যদের দিয়ে নারীদের সচেতন করে আসতেছি। যতক্ষণ সচেতন করা হয় ততক্ষণ এরপর তাদের কোন নজর থাকে না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।