দেলওয়ার হোসাইন,পেকুয়া :

পেকুয়া থানার টৈটং ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর মিন্টু মিয়া হত্যা মামলার  ওয়ারেন্টভুক্ত ১ নং আসামি মোঃ জাকির উল্লাহ গ্রেপ্তার হয়েছে।  ৩০ এপ্রিল তাকে পেকুয়া থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭।

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তি সুত্রে জানা যায় ,  গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ মোঃ মিন্টু মিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে টৈটং বাজার এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে কতিপয় দুস্কুতিকারীরা ভিকটিম নিহত মিন্টু মিয়া’কে দেশীয় ধারালো ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে এবং ঘটনাস্থানেই দুস্কুতিকারীরা মিন্টু মিয়ার মৃত্যূ নিশ্চিত করে। খুনিরা এতেও ক্ষান্ত না হয়ে পরবর্তীতে নিহত মিন্টু মিয়ার একটি হাত ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে বিচ্ছিন্ন করে রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় একটি মামলা হত্যা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-০৪, তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা মামলার এফআইআর তালিকাভুক্ত এরুপ জঘন্য কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের’কে গ্রেফতার লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উল্লেখিত ঘটনার এফআইআর তালিকাভুক্ত ১নং ও অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ জাকির উল্লাহ কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন ০১নং ওয়াডস্থ বটতলী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ ১২০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ০১। মোঃ জাকির উল্লাহ (৩২), পিতা-অলি আহম্মদ, সাং,বটতলী জুমপাড়া, থানা-পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে তার কোমড়ে গোঁজা অবস্থায় ১টি ডেগার এবং আসামীর দেয়া তথ্যমতে অন্য একটি জায়গা তল্লাশী করে আরও ১টি ডেগার উদ্ধারসহ আসামী’কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ধৃত আসামী মোঃ জাকির উল্লাহ উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে অকপটে স্বীকার করে যে, উপরে উল্লেখিত জঘন্য হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ও অনত্যম পরিকল্পণাকারী ছিলো।

আটককৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ধৃত আসামী মোঃ জাকির উল্লাহ টৈটং এলাকায় একজন কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে পরিচতি। সে, উল্লেখিত হত্যাকান্ডের পর তার নিজ এলাকা টৈটং থেকে নিখোঁজ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করে। গত দেড় বছর ধরে সে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে অবস্থান করছিল। ধৃত আসামী মোঃ জাকির উল্লাহ এই জঘন্য হত্যা কান্ড ছাড়াও তার নামে একাধিক ধর্ষণ মামলার অভিযোগ রযেছে। র‌্যাব কর্তৃক তাকে আটকের পর ভুক্তভোগী দুইজন নারী তার এরুপ অপকর্মের কথা র‌্যাবের কাছে তুলে ধরে। এছাড়াও সে র‌্যাবের হাতের গ্রেফতার হওয়ার একদিন আগে টৈটং বাজারের একটি দোকান থেকে জোরপূর্বকভাবে ১২টি কংক্রিটের পিলার লুট করে নিয়ে যায়। এই কুখ্যাত খুনী এবং অপরাধীকে গ্রেফতার করায় টৈটং এলাকার জনসাধারণ ও টৈটং বাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা র‌্যাবের প্রতি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।