আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ
ঈদের দিনেও থেমে নেই বনবিভাগের অভিযান।চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে কাঠ চোরাকারবারিদের পরাস্ত করে ৯ টি গর্জন গাছ উদ্ধার করা হয়েছে।
২ মে রাত ১১ টা থেকে ৩ মে ( মঙ্গলবার) ভোর ৪ টা পর্যন্ত বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক ও বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে ও একদল বনকর্মীর সহযোগিতায় টইটং বিটের মধুখালি এলাকায় দীর্ঘ ৫ ঘন্টা সফল অভিযান শেষে কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেটকে পরাস্ত করে ৯ টি গর্জন গাছ জব্দ করা হয়। আটককৃত গর্জন গাছের পরিমাণ প্রায় ২০০ ঘনফুট।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টইটং বিটের মধুখালি এলাকায় দীর্ঘ ৫ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে প্রায় ৯ টি গর্জন গাছ জব্দ করে রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসি। টইটং এর প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ী মাহমুদ মাঝির নেতৃত্বে স্থানীয় ফরিদ মাঝিসহ গাছ চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশলে অভিযান ব্যাহত করার চেষ্টা করে। এমনকি মাহমুদ মাঝি টইটং ও হাজি বাজার এলাকার ট্রলি ও পিক আপ চালকদের গাছ পরিবহনে বিরত থাকার হুমকি প্রদান করে। ট্রলি ও পিক আপ এর বিকল্প ব্যাবস্থা গ্রহণ করলে মাহমুদ মাঝির লোকজন রাস্তা কেটে দিয়ে গাছ পরিবহনে বাধা দেয়। তার সব অপচেষ্টা নস্যাৎ হবার পর প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে বনবিভাগের উপর চাপ প্রয়োগ করে। সবকিছু উপেক্ষা করে ৯ টি গর্জন গাছ জব্দ করে রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযানে বিট কর্মকর্তা, স্টাফ এবং সুফল প্রকল্পের ২০০ উপকারভোগী অংশ গ্রহণ করে। মাহমুদ মাঝিসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বনবিভাগ বনভূমি জবরদখল, অবৈধ কাঠ পাচার এবং পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বারবাকিয়া রেঞ্জের অভিযানে ২০০ ঘনফুট গর্জন গাছ জব্দ করে রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। মাহমুদ মাঝিসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।