টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া এলাকায় মাদক কারবারীরা দিনদুপুরে গুলিবর্ষণ করে একই পরিবারের ৪ ভাইসহ পাঁচজনকে গুরুতর আহত করেছে।
শুক্রবার (৬মে) বিকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক।
আহতরা হলেন,সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া এলাকার হাজী মতিউর রহমানের ৪ ছেলে দিলদার মিয়া প্রকাশ কাদো(৪০), আব্দুল আজিজ (২৮),মো. হাসেম সওঃ (৪৫) ও প্রবাসী মমতাজ মিয়া (৫০)। আহতরা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার বিকালে উপজেলার সাবরাং কাটাবনিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালাপুতুর ছেলে শীর্ষ মাদক কারবারী আব্দুল মুনাফ,তার সহোদর ভাই আঃ হামিদ,আবদুল্লাহ ও আইয়ুবের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী জিরো পয়েন্ট থেকে মাদকের চালান খালাস করে সুপারী বাগানে লুকায়িত করে রাখে। লুকায়িত ইয়াবাগুলো বহন করে মতি হাজীর বসত-বাড়ির সুপারী বাগানের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।এতে মতিউর রহমানের ছেলেরা ইয়াবা বহনকারীদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে কালাপুতুর ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি আব্দুল মুনাফ,আঃ হামিদ,আবদুল্লাহ ও আইয়ুবসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রসী অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রশস্ত্র,কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসেটা নিয়ে দিনদুপুরে দিলদার,জিয়াবুল,আঃ আজিজ,হাসেম সওদাগর ও প্রবাসী মমতাজকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে গুরুতর আহত করে। আহত গুলিবিদ্ধ দিলদার, জিয়াবুল,আঃ আজিজ, হাসেম ও মমতাজ শোর-চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার শেষে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ দিলদার,জিয়াবুল আব্দুল আজিজ মৃত্যুর পাঞ্জা লড়ছে।
মো হাসেম সওঃ জানান, দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মাদক মামলার আসামী আব্দুল মুনাফ ও তার ভাইয়েরা মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় বড় চালান সাবরাং জিরো পয়েন্টে খালাস করে আমাদের বসত-বাড়ির পিছনে নিরাপদে সুপারী বাগানে লুকায়িত করে আসছিল। শুক্রবার বিকালে ইয়াবা বহন করে বসত-বাড়ির সুপারী বাগানের রাস্তা দিয়ে গেলে আমরা বাধা দিই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে বিদশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এসময় আমাদের চিৎকারে আত্মীয়স্বজন আমাদেরকে রক্ষার্থে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও গুলি করে আহত করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বীরদর্পে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মুনাফের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।