মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
সারাদেশে আইনজীবীদের সনদ প্রদান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী এবং সহকারী জজ (টেকনাফ) মোঃ ওমর ফারুক-কে কক্সবাজার ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ মে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কক্সবাজারের ২ জন বিজ্ঞ বিচারক সহ ৭৯ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আগামী বুধবার ২৫ মে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কক্সবাজার সহ সারাদেশে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে বিজ্ঞ আইনজীবীদের একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। কক্সবাজার জেলা জজ আদালত ভবনে পৃথক ২ টি ভোট কক্ষে ভোটারেরা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী এরআগে কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ থাকাবস্থায় ২০১৮ সালের বার কাউন্সিল নির্বাচনেও কক্সবাজারের প্রিজাইডিং অফিসার এর দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এবারের নির্বাচনে কক্সবাজার সহ সারা দেশে ৭৯ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণসহ বাজিতপুর, ইশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাংগা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানি আদালতে একটি করে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
প্রতিবারের মতো এবারো দেশব্যাপি ১৪ টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিলের সদনপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেটদের মধ্য থেকে সাধারণ সিটে ৭ জন এবং গ্রুপ সিটে ৭ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। প্রত্যেক আইনজীবী সাধারণ আসনে ৭ জন এবং গ্রুপ আসনে ১ জন সহ মোট ৮ টি ভোট দিতে পারবেন। কক্সবাজার সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল হচ্ছে ‘সি’ গ্রুপ।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে বরাবরের মতো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল ভিত্তিক এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচনে নিজ নিজ প্যানেলকে বিজয়ী করতে উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা এখন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত। প্যানেলের সাধারণ আসন ও গ্রুপ আসনে মনোনীত প্রার্থীরা প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো বারে জনসংযোগ ও পরিচিতি অনুষ্ঠান, প্রতিনিধি সভা করে আইনজীবীদের দোয়া, সমর্থন ও ভোট চাইছেন। এ দুইটি প্যানলের প্রার্থী ব্যতীত বিচ্ছিন্নভাবে আরো কিছু প্রার্থী সাধারণ ও গ্রুপ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে সাধারণ আসনে লড়ছেন বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ.জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মতিন।
এছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপ আসনে ঢাকা অঞ্চলের জন্য লড়ছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন মিয়া, ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী মিয়া। চট্টগ্রাম নোয়াখালীর জন্য অ্যাডভোকেট এ.এস.এম বদরুল আনোয়ার, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট এ. টি. এম ফয়েজ উদ্দিন। খুলনা বরিশাল ও পটুয়াখালীর জন্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বাচ্চু, রাজশাহী যশোর কুষ্টিয়ার জন্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাইনুল আহসান। দিনাজপুর বগুড়া রংপুর পাবনা শফিকুল ইসলাম টুকু।
অন্যদিকে, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের
এবারের বার কাউন্সিল নির্বাচনে সাধারণ আসনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন-অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, অ্যাডভোকেট মো. খসরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম খান (সদ্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট শাহ মো. জিকরুল আহমেদের আসনে), অ্যাডভোকেট মো. রবিউল আলম (বুদু) ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (রাজা)।
এছাড়া অঞ্চলভিত্তিক সাতটি গ্রুপ আসনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে প্রার্থীরা হলেন: গ্রুপ-এ ঢাকা অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, গ্রুপ-বি বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন খান, গ্রুপ-সি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, গ্রুপ-ডি বৃহত্তর কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের জন্য অ্যাডভোকেট এ এফ এম রুহুল এনাম চৌধুরী (মিন্টু), গ্রুপ-ই বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর জন্য অ্যাডভোকেট আনিস উদ্দিন আহমেদ শহীদ, গ্রুপ-এফ বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়ার জন্য অ্যাডভোকেট ইকরামুল হক এবং গ্রুপ-জি বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার জন্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।