নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বরেণ্য রাজনীতিবিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,শিক্ষাবিদ,বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী (প্রকাশ ঠান্ডা মিয়া)’র আজ ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
২০০৪ সালের আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। উখিয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে একজন অনন্য অসাধারণ জননেতা ছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় রেখে গেছেন উখিয়ার সার্বিক উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান।
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে সে সময়ের টগবগে তরুণ নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নিরলস সহযোগিতাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বোপরি একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন কালীন সময়ে পিছিয়ে থাকা জনপদ উখিয়ার অবকাঠামোগত উন্নয়নে,শিক্ষাক্ষেত্রের প্রসারে তার নিরলস ভূমিকা অতুলনীয়।
উখিয়া উপজেলার মানুষ মরহুম এই জননেতার প্রতি এখনো কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে এবং চিরকালই করবে, কারণ তিনি কীর্তিমান। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই,মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী আজ না থাকলেও আছেন উখিয়ার গণমানুষের হৃদয়ে।
তারঁ সুযোগ্য উত্তরসূরিরা আজ জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন যেমনটি তিনি ছিলেন। বড় ছেলে হুমায়ুন কবির চৌধুরী দায়িত্ব পালন করেছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে, মেয়ে শাহীন আক্তার চৌধুরী বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য হিসেবে।
ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ইতিমধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন দক্ষ ও জনপ্রিয় জনসেবক হিসেবে তিনি একাধারে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের পরপর তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
আমৃত্যু আপমর জনতার কল্যাণে রাজনীতির মাধ্যমে নিজেকে নিবেদিত রাখা প্রয়াত এই জননেতার আজ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন সহ উখিয়ার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।