নিজস্ব প্রতিবেদক
প্যারালাইসিস জনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক সায়েদ জালাল উদ্দিনের বসতবাড়ির জানালা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইটের গাঁথুনি দিয়ে জানালা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।
গত ৫ মে কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জাদিরাম পাহাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সায়েদ জালাল উদ্দিন।
এতে সায়েদ আবরার জাওয়ার, সালাহ উদ্দিন রানা, সাইয়েদ আবরার জিয়াদ ও হোসনে আরা বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এম.আর মামলা নং ৮৮০/২২ শুনানি শেষে গত ১৬ মে ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এডিএম মোঃ আবু সুফিয়ান।
বিরোধীয় জায়গার বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে ওই জায়গাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদর মডেল থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সায়েদ জালাল উদ্দিন বলেন, আমার পিতা মোহাম্মদ শের আলীর জমি ছিল। তৎমতে ১২/০২/২০০৯ইং তারিখের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর মহোদয়ের আদেশ মোতাবেক ৩৭০৬ নং খতিয়ান লিপি আছে।
আমার পিতা মোহাম্মদ শের আলী ২০১২ সালের ১৬ জুলাই ৩৬৭৫ নং রেজিঃযুক্ত হেবা দলিলমূলে .১৩৩ একর জমি হেবা করতঃ দখল হস্তান্তর করেন। পিতার মৃত্যুর পরে .১৩৩ একর জমি কিচমত প্রাপ্ত হই । উপরোক্ত হেবা দলিল ও (কিচমত) পৈত্রিক সূত্রে মোট .২৬৬ একর জমি প্রাপ্ত হয়ে সকলের জ্ঞাতসারে ০৫ তলা ভবন ইমারত নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছি।
সাংবাদিক জালাল বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত। অনেকটা শারীরিক প্রতিবন্ধি হিসাবে জীবনযাপন করতেছি। আমার স্কুল পড়ুয়া সন্তানটিও সংসারের হাল ধরার যোগ্য হয় নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমিও কোন ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছি না।
বাসা ভাড়ার টাকায় শিশু সন্তানের পড়ালেখার খরচ ও সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ করি। বর্তমানে আমি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থ। এই সুযোগে আমার বসতগৃহ জবর দখলের পাঁয়তারা করে আসছে।
জোরপূর্বক বিল্ডিংয়ের ছাদ সংযোগ করে গায়ের জোরে ইমারত তথা বিল্ডিংয়ের ছাদ নির্মাণ করতেছে অভিযুক্তরা।
অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সাংবাদিক সায়দ জালাল উদ্দিন।