বার্তা পরিবেশক:
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সত্ত্ব দখলীয় মূল্যবান জায়গায় সশস্ত্র হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল প্রতিপক্ষ। ২৪ মে বিকেল ৫ টায় শহরের লালদিঘীর পশ্চিম পাড়ে প্রকাশ্য-দিবালোকে এই আদালত অবমাননাকর এই ঘটনা ঘটে।
নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার খোদাই বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কবির আহমদের পুত্র ও জায়গার মালিক ফয়সল কবির ফায়সাল অভিযোগ করেছেন, শহরের লালদিঘীর পাড়ের মূল্যবান জায়গার প্রকৃত মালিক তাদের পিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কবির আহমদ। ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত এই জায়গায় ফায়সাল ও তাঁর ভাইয়েরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে আছেন। কিন্তু তাদের এই মূল্যবান জায়গায় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তাদেরই চাচাতো ভাই, মৃত মোস্তাক আহমদ কোম্পানির পুত্র মিজানুর রহমান মিজানের। মিজান ইতিপূর্বে বেশ ক’বার জায়গা অন্যায় ভাবে দখলে নিতে চাইলে ফায়সাল বাদী হয়ে বিবাদী মিজানের বিরুদ্ধে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম আর মামলা নং-৮৪৬/২০২২ দায়ের করে। যার স্মারক নং১৪৮২। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিরোধীয় জায়গায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। সেইসাথে আদালত বিরোধীয় জায়গায় সরেজমিন তদন্ত করে এসিল্যান্ড সদরকে মতামত প্রদান করার এবং সদর মডেল থানার ওসি কে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন।
জায়গার আরেক মালিক ফাহাদ কবির অভিযোগ করে বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মিজান একদল সশস্ত্র লোক নিয়ে আমাদের হোটেলের রান্নাঘরের অংশে প্রবেশ করে যে তান্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে তা নিঃসন্দেহে আদালত অবমাননার সামিল। মিজান ও তার দলবল প্রকাশ্যে গ্র্যান্ডডিং মেশিন দিয়ে দোকানের শার্টার ও গ্রিল কেটে দোকানের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। খাবার হোটেলের ফ্রিজে রক্ষিত কয়েক হাজার টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। বাদীপক্ষ অভিযোগ করেন, মিজান আদালত অবমাননা করে উল্টো মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য প্রদান ও হুমকির সুরে কথা বলছেন। আমরা মিজানের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।