এম.এ আজিজ রাসেল:
নানা নাটকীয়তায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে সদর উপজেলা। সোমবার বিকালে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে মহেশখালীর সাথে ৪—৩ গোলে ট্রাইবেকারে হেরে কপাল পুড়লো স্বাগতিকদের।

ম্যাচের শুরুতেই মাঠ দখলে নিয়ে নেয় মহেশখালী। তাদের কয়েকটি নিশ্চিত গোলের আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয় সদরের গোলরক্ষক রাহুল। ২২ মিনিটে অপ্রত্যাশিত পেনাল্টি পায় মহেশখালী। এতে বিদেশী খেলোয়াড় ডাম্বা গোল করে দলকে ১—০ গোলে এগিয়ে নেয়। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল মহেশখালী। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে একের পর এক আক্রমণ করে সদরের খেলোয়াড়েরা। ৬৭ মিনিটে সদরও পেনাল্টি পেয়ে গোল করে বিদেশী খেলোয়াড় সাসা। এতে ম্যাচে সমতা ফেরে। কিন্তু এরপরেই ঘটে বিপত্তি। গোলরক্ষককে লক্ষ করে বোতল ও ইট নিক্ষেপের অভিযোগ এনে মাঠ ছাড়ে মহেশখালীর খেলোয়াড়েরা। এতে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ২০ মিনিট। পরে ম্যাচ শুরু হলেও চলে মাত্র ১০ মিনিট। এসময় দুদলই একাধিক আক্রমণ করে গোল না পেয়ে খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়।

টাইব্রেকারে মহেশখালীর নায়ক গোলরক্ষক মো. সাঈদী। সদরের চমৎকার দুটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। এবং ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন। আর সেই সঙ্গে ৪—৩ গোলে সদরকে হারিয়ে কাঙ্খিত ফাইনালে পৌঁছে মহেশখালী। খেলা শেষ হওয়ার পর উচ্ছৃঙ্খল কিছু দর্শক মাঠে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। দর্শকদের এই হট্টগোল প্রভাব ফেলে মাঠে। এসময় সদরের কর্মকর্তা বিপ্লব ও মহেশখালী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডতা থেকে হাতাহাতি পর্যায়ে রূপ নেয়। এসময় ঘটে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও টুর্নামেন্ট বাস্তবায়ন কমিটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) ফাইনালে চকরিয়ার মুখোমুখি হবে মহেশখালী।

মহেশখালী উপজেলা ফুটবল দলঃ সাঈদী গোলরক্ষক), মোস্তফা, সোলাইমান, ডাম্বা, এভান্স, মনজু, আরমান, রাজীব, খেমকা, সজীব, মানিক, আলা উদ্দিন, আরমান, শাহেদ, রাসেল। ম্যানেজার—নবীর হোসেন ভুট্টো ও কোচ—শামসুল আলম রনি।

সদর উপজেলা ফুটবল দলঃ রাহুল, (গোল রক্ষক), মুবিন, রিদার্থ, শেফায়েত, জাহেদ, মোস্তফা, সার্স, আরাফাত, কোলু, সাইফ, লাসি, মোবারক, হুমায়ুন, মুর্শেদ, আরিফ ও ওসমান। ম্যানেজার—আমির হোসেন ও কোচ—বিপ্লব।