প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় রাসায়নিকের ব্যবহার ব্যতীত সঠিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে গবাদিপশুতে স্টেরয়েড বা হরমোনের অপপ্রয়োগ বা কুফল এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ এর সভাপতিত্বে এবং প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কায়সার খসরু।
কর্মশালায় শিক্ষক, ইমাম, খামারী, মাংস বিক্রেতা (কসাই), পশুখাদ্য ও মেডিসিন বিক্রেতা, সাংবাদিক এবং জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
এসময় উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম আজাদ, নুরুল আলম মিয়া, হারাধন চন্দ্র সুশীল, ভেটেরিনারি মাঠ সহকারী সৌরভ দেবনাথ, জুয়েল বসাক, এফএ (এআই) আকমল হোসাইন, এলএফএ আলম মিয়া এবং আপেল মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ‘গরু মোটাতাজাকরণে কোন প্রকার স্টেরয়েড বা হরমোনের প্রয়োজন নেই। কৃমিনাশক খাইয়ে সুষম খাবার দিলে ১৫ দিনেই গরুর স্বাস্থ্যের উন্নতি শুরু হয় এবং দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ মোটাতাজা গরুতে পরিণত হয়।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘স্টেরয়েড বা হরমোন ব্যবহারে গবাদিপশুর স্বাভাবিক শারীরিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ফলে গরুর কিডনী ও লিভার বিকল হয়ে শরীরে পানি জমে গরু মোটাতাজা মনে হয়। এই প্রাণি নির্দিষ্ট সময় শেষে কিংবা অনেক সময় এর পূর্বেই গরমে হেঁটে মারা যায়। এছাড়া নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় না পৌঁছালে স্টেরয়েড নষ্ট হয় না। ফলে রান্না করার পরও এর কার্যকারিতা রয়ে যায়, যা মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করতে পারে।’