বলরাম দাশ অনুপম:
শ্রীশ্রীঠাকুরের বংশানুস্রোতা রেতঃবাহি চার সন্তানের কক্সবাজার আগমনকে কেন্দ্র করে জেগেছিল সৎসঙ্গীরা। গত ২ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত কক্সবাজার অবস্থানকালীন সময়ে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পৌএ ও প্রিয় পরম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের অধ্যক্ষ পূজনীয় বিদ্যুৎ রঞ্জন চক্রবর্তী, পূজনীয় ডক্টর বুদ্ধদেব চক্রবর্তী, পূজনীয় বিনায়ক চক্রবর্তী ও প্র-পৌএ বৌধায়ন চক্রবর্তীর কক্সবাজার সফর সাধারণ সৎসঙ্গীদের জাগিয়ে তুলেছিল নতুন প্রাণে।
বিশেষ করে ৪ জুন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে শ্রীশ্রীঠাকুর পরিবারের চার সন্তানের উপস্থিতিতে বিশেষ প্রার্থনা ছিল অনন্য এক উদাহরণ। এছাড়া শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সঠিক আদর্শ এবং সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ সৎসঙ্গীদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেন শ্রী শ্রী ঠাকুরের পরিবারের এই চার সন্তান। এতে করে সাধারণ সৎসঙ্গীদের মনের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে লুকায়িত থাকা নানা প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে এসেছে। ফলে কক্সবাজারের সাধারণ সৎসঙ্গীদের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন প্রবীণ সৎসঙ্গীরা। জানা যায়, গত ২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার পৌঁছলে শত শত সৎসঙ্গী থেকে শুরু করে সনাতনী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ঠাকুর পরিবারের এই সদস্যদের বরণ করে নেন। বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের প্রবেশ মুখ কলাতলী মোড় থেকে গোলদিঘিরপাড়স্থ জেলা সৎসঙ্গ মন্দিরে পৌঁছা পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির বহর শহরে সাধারণ মানুষের মাঝে তাক লাগিয়ে দে। ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের গোলদিঘির পাড়ের জেলা সৎসঙ্গ মন্দিরে বিশ্ব জননী মাতা মনমোহিনী দেবীর জন্মজয়ন্তী উৎসবের নানা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তাঁরা। পরেরদিন ৩ জুন শুক্রবার বিশেষ প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন শ্রীশ্রী ঠাকুরের রেতঃবাহি এই চার সন্তান। অনুষ্ঠানটি তাঁর কথা পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ৪ জুন শনিবার জেলার সৎসঙ্গীদের জন্য ছিল একটি অনন্য দিন। এদিন শত শত সৎসঙ্গী সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পূজনীয় দাদাদের সাথে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন। যে প্রার্থনাটি নজর কাড়ে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটক ও স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুদের। ৫ জুন রবিবার সন্ধ্যায় শহরের গোলদিঘিরপাড়স্থ জেলা সৎসঙ্গ মন্দিরে সন্ধ্যা প্রার্থনা শেষে উপস্থিত শত শত সৎসঙ্গীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন ঠাকুর পরিবারের সদস্যরা। এতে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সঠিক আদর্শ এবং সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশন এর সঠিক কার্যক্রম সম্পর্কে নানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে আনন্দিত সাধারণ সৎসঙ্গীরা। ৬ জুন সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে সড়কপথে কক্সবাজার ত্যাগ করেন শ্রীশ্রীঠাকুর পরিবারের এই চার সন্তান। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের রেতঃবাহি এই চার সন্তান কক্সবাজার অবস্থানকালীন সময়ে জেলা পুলিশ ও টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানা ধরনের যে সকল সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রিয়পরম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। প্রিয়পরম শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার চন্দন কান্তি দাশ জানান, শ্রীশ্রীঠাকুরের রেতঃবাহি চার সন্তান একসাথে এই প্রথম কক্সবাজার সফর করেছেন। এবারের সফরটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফরকালীন সময়ে সাধারণ সৎসঙ্গী থেকে শুরু করে, প্রশাসন, সাংবাদিক, পূজা উদযাপন পরিষদসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য সর্বস্তরের জেলা বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।