সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টস্থ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সাধারণ মুসল্লিদের বিক্ষোভ ও সমাবেশের সংবাদ প্রকাশের জেরে তিন সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

গত ৬ জুন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন শেখ।

আসামিরা হলেন, সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সভাপতি এম.এ আজিজ রাসেল, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সদস্য বোরহান উদ্দিন রব্বানী, দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি মো. হোসেন সুমন, মসজিদের মুসল্লী দানু, রুবেল, জালাল আহমদ, জাকের হোসেন, শফিউল আলম কাজল, ফরিদ আলম, মোহাম্মদ সেলিম ও জামাল হোসেন।

মামলার পর কক্সবাজারের সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার, সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারসহ বেশকিছু সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

দৈনিক সকালের কক্সবাজারের সম্পাদক ও প্রকাশক ফরহাদ ইকবাল তার ফেসবুকে লিখেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নিন্দনীয়। সাংবাদিক হয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নিউজ করা, মামলা দিতে প্ররোচিত করা কেমন সৌজন্যতা?

জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টস্থ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনে সাধারণ মুসল্লী ও ব্যবসায়ীরা। এবং ২৭ মে বাদে জুমা টাকা ফেরত দেয়ার দাবীতে মসজিদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলে প্রতিবাদ সভা করেছেন সাধারণ মুসল্লিরা। পেশাগত দায়িত্বের খাতিরে ওই সংবাদ প্রচার, প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকেরা। পেশাগত কাজ করতে গিয়ে মামলার আসামি হওয়া খুবই দুঃখজনক মনে করছে সাধারণ মানুষ।

তবে ফেসবুকে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন শেখ (শেখ ভাইজান) আইডিতে লিখেছেন-আমি কিছু সংখ্যক চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অপ-সাংবাদিক এবং সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে ঝুপড়ি দোকানী নামধারী কোটিপতি হকারদের লাগাতার ষড়যন্ত্রে আক্রান্ত। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, এসব অপরাধীরা আমাকে নানাভাবে হয়রানির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মামলার নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদের মুসল্লী, এলাকাবাসী ও সাংবাদিক সমাজ।