বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার পাল্স স্কুলের পিছনে বিদ্যমান সরকারী ছড়ায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয় নিয়ে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্রয়সূত্রে জমির প্রকৃত মালিক শহীদুল ইসলাম ফরাজীগং।
১১ জুন (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টায় কলাতলীর শাহাজাদী রিসোর্টের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম ফরাজী বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারের কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত “কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার পাল্্স স্কুলের পিছনে বিদ্যমান সরকারী ছড়ায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি” শীর্ষক সংবাদটি আমাদের নজরে এসেছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যা অত্যন্ত দু:খজনক ও মানহানিকর। শহীদুল ইসলাম ফরাজী দাবী করে আরো বলেন, সংবাদে জমির প্রকৃত মালিক ০৭ (সাত) জনের মধ্যে ০১ (এক) জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটি প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করাও অপপ্রয়াস মাত্র। বর্ণিতস্থানে প্রকৃত সত্য ঘটনা জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের নিকট তুলে ধরার জন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্ণিত স্থানে সর্বপ্রথমে বিএস ১৬৭০৪ মূলে ১২ শতক, বিএস ১৭২৫৯ মূলে ৬ শতক সর্বমোট ১৮ শতক জায়গা ক্রয় করে এবং দলিল মোতাবেক মূল খতিয়ানের মালিক ও জমিদাতা নুসরাত খানমের পক্ষে তার পুত্র মাশফিক মাহমুদ খান শহীদুল ইসলাম ফরাজী গংকে বুঝিয়ে দেন। বিএস সিট মোতাবেক তাদের সীমানা দেয়াল হতে সরকারী ছড়া আরো ২০ ফুট পশ্চিমে অবস্থিত রয়েছে। প্রথম জমি কেনার পর সীমানা দেয়াল নির্মাণের সময় সীমানার একটি পিলার বিদ্যমান ছড়ার সামান্য অংশ সম্পর্শ করে। তখন মূল খতিয়ানের মালিক ও জমিদাতা নুসরাত খানমের পক্ষে তার পুত্র মাশফিক মাহমুদ খান শহীদুল ইসলাম ফরাজী গংকে বলেন, বর্তমান ছড়ার পশ্চিমে পাশের জায়গাও তাদের। সুতরাং সীমানা পিলার ছড়ার যেটুকু অংশ স্পর্শ করেছে সে পরিমাণ মাটি ছড়ার পশ্চিম পাশ হতে কেটে দেবেন। যাতে পানির প্রবাহ ঠিক থাকে। জমিদাতার পরামর্শ মোতাবেক ছড়া বড় করে দিয়েছে।
আরো জানা যায়, ছড়ার ঠিক পশ্চিম পাশের জমিটি ইবনে সিনা ফার্মার জনৈক ঔষধ বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন তার স্ত্রী ও শ্যালিকার নামে সম্প্রতি অর্থা শহীদুল ইসলাম ফরাজীগংয়ের পরে ক্রয় করেন। ওই ঔষধ বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন সরকারী ছড়া অবৈধ কৌশলে জিয়া নামক এক রোহিঙ্গা শ্রমিককে দিয়ে মাটি কেটে ছড়াটি শহীদুল ইসলাম ফরাজীগংয়ের জায়গার পাশে নিয়ে যায়। যা তারা বিন্দু পরিমানও জড়িত নই। এ ষড়যন্ত্রের মূলহুতা শুধুমাত্র ঔষধ বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন। তিনি ছড়ার বুকে আরসিসি ওয়াল নির্মাণ করে পুরো ছড়া বন্ধ করে রেখেছে এতে বৃষ্টির পানি চলাচল করতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ফলে জনসাধারণের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে যা কোন সংবাদে প্রকাশ করা হয়নি বরং শহীদুল ইসলাম ফরাজীগংয়ের উপর চাপিয়ে দিয়ে
এক জনের নাম উল্লেখ করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে যা খুবই দুঃখজনক।এব্যাপারে প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশ করার জন্য শহীদুল ইসলাম ফরাজীগং বিশেষভাবে আহ্বান জানান। উক্ত সংবাদটির সত্যকে আড়ালে রেখে মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে যা খুবই দু:খজনক বলে মনে করেন শহীদুল ইসলাম ফরাজীগং।
শহীদুল ইসলাম ফরাজী আরো বলেন, তাদের সীমানা প্রাচীর পশ্চিম পাশ হতে মাটি কাটার ফলে সীমানা দেয়াল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৭.২.২০২২ তারিখে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও সহকারী কমিশনার ভূমি, সদর বরাবরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে এ ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর পূর্বে সত্য ঘটনাকে সামনে এনে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য প্রাণপ্রিয় সাংবাদিক ভাইদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না জন্য অনুরোধ করছি এবং নিজাম উদ্দিন গংয়ের এমন অপপ্রচার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদাত্ত ্আহ্বান জানান।