মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই মামলাটি রুজু করা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার ১ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ব্যাগ ভর্তি ২৩ লাখ ঘুষের টাকা নিয়ে ঢাকা শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান ধরা পড়ে। ঢাকা শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই তাকে কক্সবাজারে ফেরত পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে তাকে কক্সবাজার মডেল থানায় সোপর্দ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আতিকুর রহমান শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। তার ব্যাগ স্ক্যান করলে ব্যাগের ভেতর বিপুল পরিমাণ টাকার স্তূপ দেখা যায়। সকাল পৌনে ১০ টার ইউএস বাংলার ফ্লাইটে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ঘণ্টাখানেক পর ঢাকা শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে তল্লাশিতে তার ব্যাগভর্তি টাকা পাওয়া যায়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করেন। পরে আতিকুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে বিকেল সাড়ে চারটার একটি ফ্লাইটে তাকে কক্সবাজারে ফেরত পাঠানো হয়। বিমানবন্দর থেকে আতিকুর রহমানকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে, সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান এই টাকার বৈধ কোনো উৎস দেখাতে পারেননি। এই টাকা নিয়ে তিনি ফ্লাইটে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সুত্র আরো জানায়, এত টাকা তিনি কোথায় পেলেন, এসব বিষয় তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে। তিনি সহ ৩ জন সার্ভেয়ার মহেশখালীতে সরকারের প্রায় ১৫টি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ আতিকুর রহমান ওই অর্থ ঘুষ নিয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন সংশ্লিষ্টজনেরা। কক্সবাজারে সরকারের ৩ লাখ কোটি টাকার ৭২টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের জন্য প্রচুর পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।