চকরিয়া সংবাদদাতা:

চকরিয়ায় ব্যাংকের ঋণ শোধের টেনশনে স্ট্রোক করে মারা যান আনোয়ারা বেগম(৪৩) নামের এক গৃহিনী,ইন্নালিল্লাহি……রাজিউন।

শনিবার (২জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্হায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

চিরনিদ্রায় শায়িত গৃহিনী আনোয়ারা বেগম (৪৩) উপজেলার খুটাখালী ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম প্রকাশ রিক্সা চালক কালামের স্ত্রী।

কেন স্ট্রোক করল জানতে চাইলে আবুল কালাম জানান,কয়েক বছর আগে আমার বড় মেয়ের বিয়ে দিই।এসময়ও টাকার প্রয়োজনে ঋণ নিয়েছিলাম।এরপর হঠাৎ আমি জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়।তখন আরেকটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিই।এমতাবস্থায় আমার স্ত্রীও কঠিন রোগে পড়ে।তখন অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি।এরপরে ছেলে একটি এ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল।এভাবে করতে-করতে এখন গ্রামীণ ব্যাংক,আশা ব্যাংক,পদক্ষেপ ব্যাংক,ব্যুরো ব্যাংক,ব্র্যাক ব্যাংক,প্রত্যাশী ব্যাংক ও একটি বাড়ী,একটি খামার থেকে ক্রমান্বয়ে ঋণ নিতে হয়েছিল।কিন্তু আমি পেশায় একজন রিক্সা চালক।আমার দুই মেয়ে,দুই ছেলে আছেন।আমি রিক্সা চালিয়ে অতি কষ্টের বিনিময়ে ব্যাংকের ঋণ শোধ করে যাচ্ছি।কিছুদিন আগে আমার অটোরিক্সাটির ব্যাটারী ডাউন হয়ে যায়।ফলে রিক্সাটি চালাতে না পেরে সংসারে অভাব দেখা দেয়।বড় বিষয় হলো ইনকাম না থাকায় আর ব্যাংকের কিস্তি দিতে পারেনি।তখন ব্যাংকের ঋণ উত্তোলনকারী সাহেবেরা কিস্তি না পেয়ে সকাল-সন্ধ্যা বাড়ীতে আসতে থাকে।যে সময় বাড়ীতে খাবার নেই,এসময় কিস্তি দিতে না পারায়,আমার স্ত্রী সাহেবদের বিব্রতকর  কথাবার্তা সহ্য করে উঠতে না পেরে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ীতে স্ট্রোক করে মাটি ঢলে পড়ে।পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসা চললেও জ্ঞান না ফিরেই আমাদের থেকে চির বিদায় নিয়ে পরপারে চলে যান।শনিবারে আসরের নামাজের পরে জানাজার নামাজ আদায় করে,দাফন সম্পন্ন করেছি।তাই আমি ঋণ নেওয়া ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তার কাছে ঋণ মওকূফের আবেদন করছেন বলে জানিয়েছেন।