বিনোদন প্রতিবেদক:
ওয়ালটন ১১তম জাতীয় সার্ভিসেস (পুরুষ ও নারী) কুস্তি প্রতিযোগিতার গতকাল সোমবার ছিল সমাপনী দিন। দুইদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ আনসার এবং নারী বিভাগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তবে প্রতিযোগিতা এবং প্রতিযোগীদের ছাপিয়ে আয়োজনের সমস্ত আলো কেড়ে নেন ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা, সময়ের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)।

কাল দারুণ এক ঘটনার সাক্ষী হন পল্টনস্থ শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং স্টেডিয়ামে আগত অতিথি, কর্মকর্তা, খেলোয়াড় থেকে সাধারণ দর্শকরা। ওয়ালটনের পক্ষ থেকে দেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠক বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান পালোয়ানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে (২০১৬ সালে) ভূষিত হওয়ায় ওয়ালটনের পক্ষ থেকে পালোয়ানের হাতে এ সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। একই অনুষ্ঠানে গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের সুরের মুর্ছনায় আবিষ্ট করেন। নির্মল আনন্দ-বিনোদন প্রদান করেন ডন।
আনন্দের সঙ্গে খেলা, বিনোদনের জন্য খেলা- এই মন্ত্রকে ধারণ করে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন ওয়ালটনের কর্মকর্তা ডন।

মরণব্যাধি করোনাভাইরাস মানুষের শরীর এবং মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। খেলোয়াড়রাও এর ব্যতিক্রম নন। তাই ক্রীড়াক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের মনোনিবেশ বাড়াতে, তাদের মনকে চনমনে রাখতে এবং খেলোয়াড়দের মনোসংযোগ ধরে রাখতে বিনোদনের কোনো বিকল্প নেই। আর এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন ডন। করোনার কঠিন দিনগুলোতেও ক্রীড়া আর বিনোদনকে এক সুতায় গেঁথেছিলেন তিনি।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রকোপ (২০২০ সালে) যখন কিছুটা কমতে শুরু করে; ওই সময় ডনের হাত ধরেই বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট শুরু হয়। ক্রীড়াবিদ আর সংগঠকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে গুলিস্তান আর পল্টনের ফেডারেশনগুলো। সে সময় ওয়ালটন এবং ডনের কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হয়। ডন কখনো হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম, কখনো আবার শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং স্টেডিয়াম, বক্সিং স্টেডিয়াম, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে অবস্থিত শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অডিটোরিয়াম, ভলিবল স্টেডিয়াম, মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম কিংবা শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ ইনডোরে একক কনসার্টে গান পরিবেশন করে খেলোয়াড়-কর্মকর্তাসহ দর্শকশ্রোতাদের বাড়তি আনন্দ প্রদান করেন।

জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে খেলোয়াড়দেরও পুরস্কারে হাত ভরিয়ে দেয় ওয়ালটন। পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ আনসার ০৫টি স্বর্ণ ও ০৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০টি পদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। রানার্স-আপ হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ০৩টি স্বর্ণ, ০৫টি রৌপ্য ও ০১টি ব্রোঞ্জসহ ০৯টি পদক জিতেছে। তৃতীয় হওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জিতেছে ০২টি স্বর্ণ, ০৫টি রৌপ্য ও ০৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০টি পদক।

এদিকে নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ০৬টি স্বর্ণ ও ০৩টি রৌপ্যসহ মোট ০৯টি পদক জিতেছে। রানার্স-আপ হওয়া বাংলাদেশ আনসার ০৪টি স্বর্ণ ও ০৬টি রৌপ্যসহ মোট ১০টি পদক জিতেছে। আার তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশ পুলিশ ০১টি রৌপ্য ও ০৬টি ব্রোঞ্জসহ ০৭টি পদক জিতেছে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ (পুরুষ ও মহিলা উভয়) দলকে ট্রফি ও মেডেল দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিযোগিতার প্রতিটি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জয়ী কুস্তিগীরদের ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান পালোয়ান। এ সময় ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় মোট ৪টি সার্ভিসেস দল অংশ নেয়। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আনসার, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগে ১০টি করে মোট ২০টি ওজন শ্রেণিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এই প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ ও আরটিভি। সহযোগিতায় ছিল ওয়ালটন গ্রুপের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল। আর অনলাইন পার্টনার রাইজিংবিডি.কম।