আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন বঙ্গোসাগরে যৌথ অভিযান চালিয় ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি কাঠের বোট জব্দ করা হয়েছে। এসময় ৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়।
টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশান কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আশিক আহমেদ (বিএন) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফা এর নেতৃত্বে বিসিজি স্টেশান টেকনাফ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টেকনাফ কর্তৃক এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশান কমান্ডার লেঃ আশিক আহমেদ ও
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়, মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সদস্যরা সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ভোরে সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপ হতে আনুমানিক ৩ নটিক্যাল মাইল দক্ষিন পূর্বে মিয়ানমার সীমান্ত হতে একটি ফিশিং বোটকে মিয়ানমার সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমানায় আসতে দেখে বোটটিকে ইয়াবা বহনকারী বোট হিসেবে সনাক্ত করা হয়। ওই বোটটি কাছাকাছি আসলে টিমের সদস্যরা তাদের বোট থেকে দূরবর্তী ঐ বোটটিকে, টর্চ ও বাঁশির মাধ্যমে থামার জন্য সংকেত দিলে বোটটি না থেমে গতিবিধি পরিবর্তন করে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ধাওয়া করে উক্ত বোটের কাছে গেলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দ্বারা আক্রমনের চেষ্টা করা হয়। এসময় কোস্টগার্ড সদস্যরা ৪ রাউন্ড ফাঁকা গোলা ছুঁড়ে। পরে উক্ত বোটে তল্লাশী চালিয়ে একটি বস্তায় থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি সীমকার্ড বিহীন স্মার্টফোন জব্দ করে এবং ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটসহ ৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার ঘাটিয়াল থানার মৃত নুর আহম্মদের ছেলে কেপায়েত উল্ল্যাহ (২২),একই এলাকার মৃতঃ আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে মোঃ শরিফ (২৭), জালাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ হোছন (৩৮), মৃত হারেদের ছেলে ছৈয়দুর রহমান (৪৩), মৃতঃ রশিদ আহম্মদের ছেলে মোঃ হোছন (২৭) ও নুর কবিরের ছেলে নুর হোসেন (২১)কে আটক করতে সক্ষম হয়।
তাঁরা আরো জানান,জব্দকৃত ইয়াবা,কাঠের বোটসহ আটক আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।