বার্তা পরিবেশক:
মহেশখালীতে বনবিভাগের লোকজনের বিরুদ্ধে টাকা দাবি, পানবরজ ভাংচুরসহ আরো নানা অভিযোগ উঠেছে। দাবি পরিমাণ টাকা না পাওয়ায় পান বরজ ভাংচুর করে চিরতরে পানবরজ বন্ধের চেষ্টারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ জানিয়ে সাধারণ মানুষের বনবিভাগের লোকজনের বিরুদ্ধে বন মন্ত্রণালয়সহ আরো কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. আবদুল খালেক চৌধুরী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যোগদান করার উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী যোগ দেয়ার পর থেকে শাপলাপুরের এলাকায় পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বসত-বাড়ি ও পানবরজ থেকে টাকা দাবি করছে বনবিভাগের লোকজন। টাকা না দেয়ায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পানবরজ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া টাকা না দিলে সব পানবজর গুড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি বনবিভাগের জায়গা হওয়ায় সরকারি প্রকল্পের রাস্তাঘাট/ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ, বদ্যুৎ সংযোগ, গভীর নলকূপ স্থাপনসহ নানাজনহিতকর কাজে বাধা দিচ্ছে বনবিভাগ।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে., ব্রিটিশ আমলে ওই এলাকার পাহাড়, নদী-নালা, খাল বিল সব কিছুর একচ্ছত্র মালিক ছিলেন জমিদার প্রসন্নকুমার রায়। স্থানীয় জনগণ ছিলেন তাহার প্রজা। তখন মহেশখালী পাহাড়ের পাদদেশে ১২নং পাহাড় মৌজায় ঘর-বাড়ী নির্মান করিয়া গ্রাম গ্রামান্তরে স্থানীয় জনসাধারন বসবাস করতো। আর নাল শ্রেনীর নীচু জমিতে চাষাবাদ করা হতো। পাহাড়ী জমিতে স্থানীয় লোকজন পান চাষ করত। এর মধ্যে ১৯৫৬ ইংরেজী সালে জমিদার প্রথা বাতিল হওয়ার পর দ্বীপের পাহাড়ী অংশ একটি প্রজ্ঞাপন দ্বারা উপকূলীয় বন বিভাগের নিকট ন্যস্ত হইলেও পূর্ব মতে প্রতিষ্ঠিত গ্রাম সমূহ দ্বীপের পাহাড়ী অংশে রয়ে যায় এবং হাজার হাজার জনসাধারন পূর্ব মতে পাহাড়ে পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করিয়া আসছে। কিন্তু সম্প্রতি চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার খান জুলফিকার আলী কর্মস্থলে যোগদান করার পর তিনি পান চাষে বাধা প্রদান করছেন। তাছাড়া পুরাতন পানের বরজ এবং ঘরবাড়ী মেরামত করতে গেলে ঘুষ দাবী করে থাকেন। ঘুষ না দিলে পানের বরজ এবং ঘরবাড়ী ভাংচুর করেন এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে থাকেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার খান জুলফিকার আলী অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সরকারের চলমান সুফল প্রকল্পের জন্য চারা রোপন করতে নতুন করে পান বরজ না করতে উপরের নির্দেশ রয়েছে। এ কারণে শাপলাপুরের বনবিভাগের জায়গায় পান বরজ রোপন করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এর জন্য কারো কাছে টাকা করা অসত্য জানিয়েছেন এই বন কর্মকর্তা।
মহেশখালীতে বনবিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
