বলরাম দাশ অনুপম:
ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে কক্সবাজার জেলায় উদযাপিত হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন শুভ জন্মাষ্টমী। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে শহরের গোলদিঘীর পাড় চত্বর থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় রাধা-কৃষ্ণ, মহাদেব, কংস, বসুদেব-দৈবকিসহ বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয় নানান সাজে। শোভাযাত্রাটি গোলদিঘীর পাড় চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঘোনারপাড়াস্থ শ্রীশ্রী কৃষ্ণানন্দধামে শেষ হয়।
জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার আগে জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন পালের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। যেখানে অন্যায়-অবিচার ধরাধামকে গ্রাস করেছে, সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ।
জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন-পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর, সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন উখিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অজিত দাশ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রাধা গোবিন্দ দাস।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
