নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও আলোক শিখা প্রজ্জ্বলন করেছে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
সদর উপজেলা সভাপতি এড. একরামুল হুদার (স্পেশাল পি. পি) এর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য চত্ত্বরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুস্তম আলী চৌধুরী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিস,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের, ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ড়ের সভাপতি নুরুল আলম, ঝিলংজা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আরমান, পিএম খালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হেলাল উদ্দিন সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাবুল, পোকখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলম।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঊনত্রিশ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও ঘাতকদের দল শোকাবহ এই আগস্টেই জোট বেঁধেছিল। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য ও দেশকে পাকিস্তান বানাতেই ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা করিয়েছে বিএনপি—জামায়াত জোট সরকার। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার আলম চৌধুরী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঝিলংজা, পিএমখালী, খুরুশকুল ও পোকখালী ইউনিয়নের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতা–কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ দলের কয়েক শ নেতা–কর্মী। ভয়াবহ হামলার ১৮তম বার্ষিকী ২০২২ সাল।