মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
৩০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় একজন আসামীকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি ও রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী এ তথ্য জানিয়েছেন।
কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী হচ্ছে-টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়ার মৃত পেঠান বক্সের পুত্র মোঃ জাফর আলম (৪৫)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
২০১৭ সালের ১২ জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে র্যাব-৭ এর একটি টিম কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কাঞ্জরপাড়াস্থ জাহেদের দোকানের সামনে থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জাফর আলমকে আটক করে। পরে তার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৩০ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৭ এর জেসিও মোঃ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১), ৯ এর (খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৪৭/২০১৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৫১৮/২০১৭ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর ১০২৬/২০১৯ ইংরেজি।
বিচার ও রায় :
মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষা পর্যালোচনা, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১), ৯ এর (খ) ধারায় আসামী জাফর আলমকে দোষী সাব্যস্থ করে ১৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। একইসাথে একই আইনের ৯ এর (৪) ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।