বিশেষ প্রতিবেদক:
দীর্ঘ দিন পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি দল আওয়ামী লীগের টেকনাফ উপজেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আলোচিত উপজেলার এই সম্মেলন ও কাউন্সিল নিয়ে ইতিমধ্যে জোর আলোচনা চলছে। এই নিয়ে পুরো টেকনাফ উপজেলার আওয়ামী রাজনীতির অঙ্গনে বেশ মাতামাতি চলছে। নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে। সেই সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কৌতুহল! কে হতে হচ্ছে আলোচিত এই উপজেলার সরকারি দলের আগামীর কান্ডারি?

দলীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। তবে দুই পদে প্রার্থী সংখ্যা খুব কম। এর মধ্যে সভাপতি পদে বেশ আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, পরিচ্ছন্ন ও মাদক বিরোধী নেতা নূরুল বশর। সভাপতি পদে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিও প্রার্থী হলেও তিনি এখনো সেখাবে প্রকাশ্যে আসেনি।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বদরুল হাসান মিলকি। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোর্শেদ আলী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলন ও কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকে আনুষ্ঠানিক মাঠে নেমেছেন নূরুল বশর, বদরুল হাসান মিলকি। এছাড়া মোর্শেদ আলীও ইতিমধ্যে নামে নেমেছে। তবে নূরুল বশর ও মিলকি মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। যাচ্ছেন কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে।
প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় থাকা নূরুল বশর মাদকের ‘করিডোর’ খ্যাত টেকনাফের মতো উপজেলায় সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন আসীন থাকলেও মাদক সংশ্লিষ্টতার তকমা তার গায়ে লাগেনি। উল্টো মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তাই সাধারণ নেতাকর্মী ও দলের উর্ধ্বতন মহলে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক আলোচনায় থাকা বদরুল হাসান মিলকিও নানাদিক থেকে বেশ গ্রহণযোগ্য নেতা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য। এক সময়ের ডাকসাইটে ছাত্রনেতা মিলকি ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও ৯৬ এর অসহযোগ আন্দোলনের অগ্রপথিক ছিলেন। এছাড়া পরোপকারী ও মানবসেবামূলমক কাজে তার বিশাল অবদান রয়েছে। বিভিন্ন সময় জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণসহ অসহায় মানুষদের সহযোগিতা ইতিমধ্যে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম রয়েছে। তিনি বরাবরের মতই মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকে। এছাড়া সহজ-সরল ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে সাধারণ মানুষের খুব পছন্দের মিলকি।

অন্যদিকে দলের জন্য সর্বোচ্চ নিবেদিত একজন নেতা তিনি। টেকনাফের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম সব সময় গতিশীল রাখতে সব সময় শারীরিক ও আর্থিকভাবে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনায় অবদান রাখেন। একারণে দলের উচ্চ পর্যায়ে তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেছেন, যোগ্যতা, সততা, মানবিকতা ও দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে নূরুল বশর ও বদরুল হাসান মিলকির হাতে টেকনাফ আওয়ামী লীগের ভার দিলে দলের অধিক মঙ্গলজনক হবে।