মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,সীমান্ত থেকে ফিরে :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে নিস্তব্ধতা লক্ষ করা গেছে। এ জনপদে বসবাসরত হাজারো মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে ঘুমধুম থেকে শুরু করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আওতাধীন জামছড়ি-আষারতলী দক্ষিণ চাকঢালা পযর্ন্ত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল মানুষের মনে।
মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলা আরকান আর্মি বনাম ওই দেশের সেনাবাহিনীর মাঝে তুমুল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে বিস্ফোরিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গোলাবারুদের আওয়াজে সীমান্তে বসবাস করা মানুষ জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে তারা ভাবনায় ছিলেন।
সোমবার রাত দশটার পর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পযর্ন্ত সীমান্তের কোথাও মায়ানমারের অভ্যন্তর থেকে কোন বিস্ফোরণের আওয়াজ পায়নি বলে জানিয়েছেন সীমান্তের অনেকেই।
কথা হয় আষারতলী ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাবের জানান, তার এলাকার বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকা শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। কোন প্রকার গোলযোগ বা গুলি মটারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে না।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এবং ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজীজ জানান ,তাদের কাছেও সীমান্তে কোন বিস্ফোরণ বা হট্টগোলের কোন খবর নেই। বিজিবি একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানান সীমান্তের পরিবেশ যা-ই হোক বরাবরের মত বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।