প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি নির্মুলে প্রথম আলোকে আরও সোচ্চার হতে হবে। প্রথম আলো সবসময় সত্যের পথে অবিচল । অন্ধকারকে পেছনে ফেলে ২৪ বছর ধরে প্রথম আলো সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে সেই সত্যটা বলার চেষ্টা করছে বলেই প্রথম আলো আজ দেশের শীর্ষ দৈনিক হতে পেরেছে। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম আলো বাংলাদেশের জয় দেখতে চাইছে। ভালোর সাথে আলোর পথে হাঁটছে।

প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ( ৪ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা। দুপুর ১২টা পযন্ত চলা দুঘন্টার কথামালা, গান, আবৃত্তি আর বাঁশির সূরে মুগ্ধ সবাই। অনুষ্টানে জেলা প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী, শিক্ষাপ্রতিষ্টান প্রধান, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সামাজিক-সংস্কৃতিক সংগঠন প্রধানসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ প্রথম আলো কেন দেশের এক নম্বর দৈনিক পত্রিক- তার স্মৃতিচারণ করেন। মাদকমুক্ত কক্সবাজার, পরিবেশবান্ধব পযটন রাজধানী গড়তে এবং যানজট মুক্ত শহর ও জলবায়ূর ক্ষতিকর দিক থেকে কক্সবাজারের সুরক্ষায় প্রথম আলোকে আরও ভূমিকা রাখার দাবী জানানো হয়।

শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা। তিনি বলেন, প্রথম আলো শুধুমাত্র একটি দৈনিক পত্রিকা নয়। এসিড ও মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সোচ্ছার দৈনিকটি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে গণিত উৎসব, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড, বির্তক উৎসব, বিজ্ঞান মেলা, প্রিয় শিক্ষক সম্মাননাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ লাখ পাঠক প্রথম আলো পড়েন। প্রথম আলো ডটকম বিশ্বের এক নম্বর বাংলা ওয়েব পোর্টাল। পাঠকদের প্রতি প্রথম আলোর কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সত্যে তথ্যে প্রথম আলো আরও এগিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশের জয় দেখতে চায়।

প্রথম আলো কেন দেশের এক নম্বর দৈনিক পত্রিকা তার নেপথ্য কাহিনী তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ। কলেজ জীবনে তিনি প্রথম আলোর শুরুটা দেখেছেন, পড়েছেন এবং পড়ছেন জানিয়ে এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, প্রথম আলোর নকশা, খেলার পাতা, সাহিত্যপাতা, অর্থবাণিজ্যসহ বিচিত্রময় সংবাদ পরিবেশনা-অন্য কোনো কাগজে দেখা যায়না। একসময়ে আলপিন-রসআলোর কথা এখন ভুলতে পারেন না কেউ কেউ। সবসময় সঠিক তথ্য দিয়ে সত্য কথাটা বলার চেষ্টা করে বলেই আজ প্রথম আলো দেশের শীর্ষ দৈনিক হতে পেরেছে।

অনুষ্টানে ‘ গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ’… গানটি বাঁশির সূরে গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে অনেক দৈনিক পত্রিকা আছে। সবচেয়ে বেশি পাঠক প্রথম আলোর। কারণ তারা মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে। বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে মানুষের কাছে সঠিক তথ্যটা তুলে ধরার কাজ করছে প্রথম আলো। এধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রথম আলোর জিপিএ-৫ সংবর্ধনায় অংশগ্রহণের জন্য এখনো শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করে জানিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে প্রথম আলোর ভূমিকা অগ্রগন্য। আগের মত জেলায় জেলায় বিজ্ঞান মেলা, গণিত ও ফিজিক্স অলিম্পিয়াড করা গেলে শিক্ষার্থীরা লাভবান হবে।

কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী বলেন, সমাজের অন্ধকার দূর করতে হলে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চর্চা জরুরি। প্রথম আলো শুরু থেকেই সেই চর্চা করে আসছে।

কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম বলেন, মাদক চোরাচালানের জন্য কক্সবাজারকে উর্বরভূমি বানিয়েছে কতিপয় ব্যক্তি। মাদক ও এসিড সন্ত্রাসীবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করে প্রথম আলো সুনাম কুড়িয়েছে। মাদকমুক্ত কক্সবাজার গড়তে আরও সোচ্চার হতে হবে প্রথম আলোকে।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী মো. আয়াছুর রহমান বলেন, সমাজে যাকিছু ভালো-তার সঙ্গে আছে প্রথম আলো। সমাজের দুর্নীতি ও অপসংস্কৃতি দূর এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় প্রথম আলোকে পাশে চায় মানুষ।

দৈনিক কালের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ বলেন, সত্য বলাটা অনেক কঠিন। তবুও সাহস করে প্রথম আলো সত্যটা বলার চেষ্টা করে আসছে।

চিকিৎসক চন্দন কান্তি দাশ বলেন, প্রথম আলো এক দিন না পড়লে তাঁর ঘুম হয়না।

কবি শামীম আকতার বলেন, প্রথম আলো এখন তাঁর নিশ্বাসে পরিণত হয়েছে।

মতিউর রহমানের মত দায়িত্বশীল ও মেধাবী সম্পাদক দেশে আর সৃষ্টি হবে কীনা সন্দেহ আছে জানিয়ে কক্সবাজার জেলা সন্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, নীতি-নৈতিকা ধরে রাখতে পেরেছে বলেই আজ প্রথম আলো দেশের এবং বিশ্বের লক্ষ-কোটি মানুষের প্রিয় দৈনিক হতে পেরেছে।

উৎসবে প্রথম আলোকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন, কক্সবাজার মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রমজান আলী, কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আহসান সুমন, বন্ধুসভা কক্সবাজারের সহসভাপতি মোজাহিদ আলী, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।

বন্ধুসভা কক্সবাজার সিটি কলেজ শাখার সভাপতি মারুফ রশীদ নাইমের সঞ্চালনায় আনন্দ উৎসবে গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন বন্ধুসভার জাহিদুল ইসলাম নাইম, প্রজ্ঞা খেয়াং, রাসেল তালুকদার, বাঁধন সরকার, নাওরিন হাসনাত ওমামা ও ফরহাদ আলম। সবশেষে কেক কেটে প্রথম আলোর ২৪তম জন্মদিন উৎযাপন করা হয়।