আব্দুস সালাম,টেকনাফ(কক্সবাজার)
কক্সাবাজারের টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের আভিযানিক দল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয়ে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ হ্নীলা মগপাড়ার নিমার বাড়িতে এক অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ১নং ধৃত ব্যক্তির দেহ, শয়ন কক্ষ ও আশপাশ এলাকা তল্লাশী করে বসত ঘরের শয়ন কক্ষে একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তার ভেতর থেকে সর্বমোট ১ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিদের নাম নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী ৮নং ওয়ার্ডের ধৈদয়া বাপের পাড়া ও বর্তমান ঠিকানা হ্নীলা ৩ নং ওয়ার্ড মগপাড়া নিমা এর বাড়ীর মৃত মংক্যনু মার্মার ছেলে
ছিংওয়াই মার্মা (১৯),হোয়াইক্যং ২ নং ওয়ার্ড,বালুখালী, খারাইংগাঘোনার মৃত আবুল মঞ্জুরের আনোয়ার হোসেন (৩০), বলে জানা যায় এবং আটককৃত আসামীদ্বয় জানায় যে, আভিযানিক দল বর্নিত ঘটনাস্থলে পৌছার একটু পূর্বে অপর মাদক কারবারী হ্নীলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মগপাড়ার আব্দুর রশিদের মোঃ রাসেল প্রকাশ রাসেইল্যা, একই ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার আবুল কাছিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম প্রকাশ ভুট্টো পালিয়ে যায়। বর্ণিত মাদক ব্যবসায়ীগন পরস্পর যোগসাজসে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটসমূহ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ১নং ধৃত ব্যক্তির নিজ বসত ঘরে মজুদ রেখেছিল। অদ্য উপরোল্লিখিত ইয়াবাসহ র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ বর্ণিত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।