আবদুর রহমান খান
( নভেম্বর ২৫) পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত রেখা দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডঃ আরিফ আলভী বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সেনা প্রধান হিসেবে লেঃ জেনারেল আসিম মুনির-এর নাম ঘোষনা করেছেন। মাসব্যাপী জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দেওয়া পাঁচজনের তালিকা থেকে নতুন সেনা প্রধান বাছাই করে সারসংক্ষেপ চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গতকালই প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
এর আগে ২০১৮ সালে জেনারেল আসিফ মুনিরকে তিন তারকা জেনারেলের পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। লেঃ জেনারেল হিসেবে তার দায়িত্ব পালনের মেয়াদ চার বছর পুরণ হবে ২৭ নভেম্বর। আর সেদিনই বিদায়ী সেনাপ্রধানের অবসর কার্যকর হচ্ছে।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ডাকে চলমান লংমার্চের শেষ পর্বে আগামীকাল( ২৬ নভেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে ্সমাবেশে যোগ দেবেন। দলের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী আজ লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নিজের জীবনের ওপর হামলার ঝুঁকি নিয়েই সমাবেশে হাজির হবেন। তিনি বলেছেন, নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের পর যদি অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষোনা দেওয়া না হয়, তবে পিটিআই নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করবে। র
দলের আর এক নেতা ফয়সাল খান জানিয়েছেন পাকিস্তানের ইতিহাসের দীর্ঘতম লংমার্চে নেতৃত্ব দিয়ে রাজধানি ইসলামাবাদে পৌছাবেন ইনশা আল্লাহ। পিটিআই নেতা আসাদ উমর রাওয়াল্পিন্ডিবাসীদের আহবান জানিয়ে বলেছেন, শনিবার পিন্ডি আসছেন আপনাদের ক্যাপ্টেন, তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হন।
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খানকে লং মার্ছ স্থগিত করে পার্লামেন্টে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে বলেছন, অন্যথায় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক বিপর্্য্যের জন্য তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
রানা সানাউল্লাহ আরো বলেছেন, আমি বলব , ইমরান সাহেব , রাওয়ালপিন্ডির সমাবেশে গিয়ে নির্বাচনের তারিখ পাওয়া যাবেনা। নির্বাচনের তারিখ পেতে হলে তাকে রাজনৈতিক আচরণ করতে হবে। এ নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। এমন কি প্রতিপক্ষ নেওয়াজ শরিফ এবং শেহবাজ শরিফের সাথেও কথা বলতে হবে। আর তাতে তারা অসম্মত হবেন না।
পাকিস্তান রেডিও জানিয়েছে, আজ সর্বশেষ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে এক সভায় ইমরান লং মার্চ মোকাবেলার কৌশল প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ইমরান খানের সমাবেশ ও লং-মার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদের চীফ সেক্রেটারী এবং পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে তারা যেন এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে পরিভালিত কোন কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে না পড়েন।