সিবিএন রিপোর্ট:
কথিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) এর সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ হাশিম জীবিত নাকি মৃত, তা এখনো কেউ জানে না।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার পায়, হোয়াইক্যং উনচিপ্রাংয়ের ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আরসা নেতা হাশিম গণপিটুনিতে নিহত’ হয়েছে। এমন খবর প্রচার পেলেও লাশের হদিস মেলে নি।
থানা পুলিশ কিংবা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন, কেউ তার বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য দিতে পারছে না।
এমনকি সে মৃত নাকি জীবিত আছে, তাও জানা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও ছবি দেখে সবাই ‘মারা গেছে’ অনুমান করছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এবিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত তথ্য পাইনি। তবে, খোঁজখবর নিচ্ছি।
১৬ এপিবিএন অধিনায় তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ক্যাম্প ২১ ও ২২সহ আশপাশের সব এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। এপিবিএন সদস্যরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এবিষয়ে স্থানীয়রা সঠিক কিছু জানাতে পারছে না। যদিওবা বিভিন্ন মাধ্যমে মৃত্যুর খবর পাচ্ছি।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোঃ নাইমুল হক বলেন, কথিত আরসা নেতা মোহাম্মদ হাশিম নিহতের খবর পাচ্ছি। তবে, লাশের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেকারণে আপাতত ‘মৃত’, ‘জীবিত’ কিছুই বলা যাচ্ছে না।
তবে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাংয়ের ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে মোহাম্মদ হাশিম।
সে ওই ক্যাম্পের মৃত নুরুল আমিনের ছেলে।
কয়েকদিন আগে তাকে র্যাব গ্রেফতার করেছিল বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, আরসার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল হাশিম।
রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও মাদরাসায় হামলা চালিয়ে ছয় জন হত্যার অন্যতম হুকুমদাতা সে।
এসব ঘটনার কারণে রোহিঙ্গারা তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ ছিল।
মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের আসামি হিসেবে পুলিশও হাশিমকে হন্য হয়ে খোঁজছিল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।