শাহেদুল ইসলাম মনির,কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় চার নেতার হত্যাকারী কুশি-লবদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় বিচারের দাবি জানিয়ে দলীয় কার্যালয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আওরঙ্গজেব মাতবরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছার সিকদারের সঞ্চালনায় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কুতুবদিয়া উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম মাতবর, সহ-সভাপতি আরিফ মোশারফ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন লালা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহাজাহান সিকদার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এম রেজাউল করিম, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর সিকদার, বড়ঘোপ ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আবুল কালাম, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আ’লীগের আহ্বায়ক আজমগীর মাতবর, সাবেক ছাত্রনেতা রমিজ আহমদ বিএসসি, জাতীয় শ্রমিকলীগ উপজেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম, আওয়ামী বাস্তুহারালীগ সভাপতি মনির আহমদ মাতবর, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি খোরশেদ আলম, লেমশিখালী আট নং ওয়ার্ড় সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল, উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ৷
এতে উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এটিএম শাহ আলম কুতুবী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিন বিহারী শীল, বড়ঘোপ ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিটু, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি কাইমুলহুদা বাদশা, উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ কুতুবী, লেমশিখালী ইউনিয়ন কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরাফাত সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন দেশে ৩ নভেম্বর জেলের মধ্যে হত্যাকান্ডের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা বিশ্বে কোথাও ঘটেনি। জেলে বন্দীদের সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকার কথা থাকলেও ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির সূর্য সন্তান বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে স্বাধীনতা বিরোধীরা কারাগারে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু সহ স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী ঘাতকের হাতে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বক্তারা৷
পরে জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা তৌহিদুল ইসলাম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।