সিবিএন ডেস্ক:
কক্সবজাার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, অপরাজনীতি আমার আদর্শ নয়। সম্প্রতি কক্সবাজার শহরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মোনাফ সিকদারের উপর গুলি করার মামলায়, এমপি কমলের নেপথ্যের ভূমিকার প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কক্সবাজার শহরে তাঁর ব্যক্তিগত অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমপি কমল বলেন, আব্দুল মোনাফ সিকদারকে গুলি করার ও তৎপরবর্তী মামলা হওয়ার সময়ে তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। এই সময়ের মধ্যে কেউ তাঁর সাথে যোগাযোগ করেননি এবং তিনিও কারো সাথে যোগাযোগ করেননি।
মামলার পরবর্তীতে মেয়র মহোদয়ের বক্তব্য তাঁকে বিষ্মিত করেছে। তিনি বলেন, মেয়র মহোদয় সব সময় অন্যের শিখিয়ে দেয়া কথা বলেন। কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহনের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির খবর জাতীয় পত্র-পত্রিকাসহ অসংখ্য ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে এসেছে। তারই প্রেক্ষিতে দুদক পরিচালিত অনুসন্ধানের সময় মেয়র মহোদয় ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী আমাকে দোষারূপ করে। অথচ এবিষয়ে আমার কোন ভূমিকাই ছিল না।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম মামলা করার পিছনে কেন আপনার নাম বললেন, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে এমপি কমল বলেন, জনাব নজিবুল ইসলাম গতবারের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আমাকে বিতর্কে জড়িয়ে দিতে পারলে হয়ত তাঁর ব্যক্তিগত লাভ রয়েছে বলে তিনি একথা বলতে পারেন।
আব্দুল মোনাফ সিকদারের ওপর হামলার বিচার আপনি চান কিনা ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোনাফ সিকদার একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সংগঠনের একজন গুরুত্বপুর্ণ কর্মী। শুধু মোনাফ সিকদার নয়, যে কোন হামলার সুষ্ঠ বিচার আমি চাই এবং নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায় সে বিষয়ে আমার সহানুভুতি থাকবে।
কেন মেয়র মহোদয় মামলাটা আপনার কারনে হয়েছে বলেছেন? এ প্রশ্নে এমপি কমল বলেন-কক্সবাজারবাসি জানে একজন সংসদ সদস্যের কথায় তিনি চলেন। যার সাথে তিনি সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটান। এ সাংসদের শিখিয়ে দেয়া কথাগুলোই মেয়র মহোদয় বলে থাকেন।
এখন আপনার করনীয় কি? সাংবাদিকদের এ কথায় তিনি বলেন, আমার সামনে অনেক কাজের চাপ। আমার প্রথম কাজ বাসটার্মিনাল থেকে লাইট হাউস, লাইট হাউস থেকে সাহিত্যিকাপল্লী পর্যন্ত, ঘোনার পাড়া, বৈদ্যঘোনা, এবিসি ঘোনা থেকে সাহিত্যিকাপল্লী পর্যন্ত দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে বসবাসকারি ৫০ হাজারেরও অধিক পরিবারকে স্থায়ীভাবে জমি বন্দোবস্তি করে দেয়া এবং আগামী ২০২২ সালের মধ্যে তা নিস্পত্তি করা। কক্সবাজারের সদর-রামু ও ঈদগাঁও উপজেলার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করা।
অপরাজনীতি আমার আদর্শ নয়। আমার সময়ে গত ৮ বছরে আমি কারো বিরুদ্ধে কোন মামলা করার প্ররোচনায় ছিলাম না। এমনকি আমার রাজনৈতিক শত্রæর বিরুদ্ধেও নয়। সারাক্ষণ আমি মানব সেবা করি। মানব সেবাই আমার ধর্ম। আমাকে যারা বিতর্কে জড়াতে চায়, তাদের স্থানে আমি নই। ভূমিদস্যুদের পক্ষেও নই। সব সময় আমি আপোষহীন থাকি। অন্যায়কে ঘৃনা করি। কয়েকজনে কি কথা বলেছে সে কথা নিয়ে আমি বিচলিত নই। বিষয়টুকু নিয়ে ভাবলে আমার সময় নষ্ট হবে।