হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছরার ৩ গ্রামে অপহরণ আতংক চরম আকার ধারণ করেছে। গ্রাম ৩টি হচ্ছে মারিশবনিয়া, মাথাভাঙ্গা ও বড়ডেইল।
বড়ডেইল মাদ্রাসার সাবেক পরিচালক (মুহতমিম) আলহাজ্ব মাও. নেজাম উদ্দিন জানান, পাহাড়ে অবস্থানরত অবৈধ অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অপহরণকারী চক্রের অপহরণ তৎপরতায় ইউনিয়নের মারিশবনিয়া, মাথাভাঙ্গা ও বড়ডেইল তিন গ্রামের মানুষ চরম আতংকে রয়েছে। চরম দুমুর্ল্যরে সময়ে মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করতে জমি-জমা, চাষের গবাদিপশু, স্বর্ণালংকার বিক্রি হচ্ছে।
বাহারছরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাও. আজিজ উদ্দিন জানান, লম্বালম্বি ইউনিয়ন বাহারছরার একদিকে বঙ্গোপসাগর অন্যদিকে পাহাড়। মাঝখানে বাহারছরা ইউনিয়ন। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাষাবাদ, পানের বরজ, সুপারী বাগান, মৌসুমী ক্ষেত সবই পাহাড়ের পাদদেশে। কিন্ত ক্ষেত-খামারে কাজ করতে গেলেই অপহরণের শিকার হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে না গিয়েও উপায় নেই। গত দুই সপ্তাহে
১০-১১ জন স্থানীয় বাসিন্দা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাহাড়ে রয়েছে অবৈধ অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অপহরণকারী চক্র। অপহরণের শিকার স্থানীয় বাসিন্দরা জনপ্রতি এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরছে। এ ব্যাপারে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা জরুরী হয়ে পড়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।