আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীর হাত কেটে উল্লাস করার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয়ে গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকা হতে উক্ত ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের আভিযানিক দল।
জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য এনামুল হক ও তার অধীনে সন্ত্রাসীরা টেকনাফের নাজিরপাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে সিদ্দিক আহম্মদের দুই হাতের কব্জি কেটে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে উল্লাসে মেতে উঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে মুহূর্তের মধ্যে সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে রাশেদুল আলম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৬৮, তারিখ-২৭ নভেম্বর, ২০২২ ইং জি আর নং-১০৩২,
ধারা-১৪৩/১৪৪/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০। ঘটনার পর থেকে এ ঘটনায় জড়িত আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-১৫ বর্ণিত ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সাথে সাথে আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার এলাকার এজাহারনামীয় ৩নং আসামী মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে নুরুল হক (৩৮) এজাহানামীয় ৭নং আসামী একই এলাকার দিল মোহাম্মদ কালুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫),
এজাহানামীয় ৭নং আসামী মৃত ফজল আহম্মদের ছেলে দিল মোহাম্মদ কালু (৫৮),এজাহানামীয় ১০নং আসামী একই ইউনিয়নের শীলবনিয়া পাড়ার মীর কাশেমের ছেলে আবুল কালাম(৩৮) ও এজাহানামীয় ১১নং আসামী একই ইউনিয়নের নাজির পাড়ার মৃত মোঃ রফিকের ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ (৩৬)।
এরা সকলেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য,এজাহারভূক্ত ৩নং আসামী নুরুল হক (৩৮) এর অপরাধ ভিকটিমের চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে এবং একটি কাটা হাত নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। এছাড়াও বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পূর্বের ১টি অস্ত্র, ১টি মাদক, ১টি চাঁদাবাজি ও ২টি মারামারির মামলা রয়েছে। এজাহারভূক্ত ৭নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) এর বিরুদ্ধে রামু ও টেকনাফ থানায় পূর্বের ১টি অপহরণ ও ১টি মারামারির মামলা রয়েছে। এজাহারভূক্ত ৮নং আসামী দিল মোহাম্মদ কালু (৫৮) এর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পূর্বের ১টি মারামারির মামলা রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।